
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধায় ভোলায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে নিহত জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবদুর রহিমের গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে শহরের সার্কুলার রোডে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এই জানাজা হয়। কেন্দ্রীয় কর্মসুচির অংশ হিসেবে স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ আয়োজনে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। তারা নিহত আব্দুর রহিমের রুহের মাগফিরাত কামান করে দো’আ ও মোনাজাত করেন। জানাজা শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। স্টেশন রোডের দাস বেকারী মোড়ে পুলিশের বাঁধা পেয়ে মিছিলটি আবারও জেলা বিএনপি কার্যালয়ে ফিরে আসে। পরে সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় অংশ নেন, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির গ্রাম বিষয়ক সম্পাদক আনিছুজ্জামান খান বাবু, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, গাইবান্ধা জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুল হাসান টিটুল, স্বেচ্ছাসেবকদলের জেলা সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক, ছাত্রদলের জেলা সভাপতি খন্দকার জাকারিয়া আলম জীম ও সাধারণ সম্পাদক তারেকুজ্জামান তারেক প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সারাদেশে লোডশেডিং ও জ্বালানি ‘অব্যবস্থাপনা’র প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের অংশ হিসেবে ভোলা শহরের মহাজনপট্টিতে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করলে দলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা ও গুলি চালায় পুলিশ। এতে স্বেচ্ছাসেবকদলের আবদুর রহিম নিহত হন। আহত হয় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী। তারা বলেন, একটা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি, বিদ্যুতের দাবীতে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ। সেই সমাবেশে পুলিশ দিয়ে গুলিবর্ষণ করে সরকার জানান দিয়েছে যে তারা আন্দোলনকে দমন করতে চায়। কিন্তু দেশের মানুষ এই ফ্যাসিবাদী সরকারের দমননীতিকে ভয় করবে না। জীবন দিয়ে হলেও তারা দেশ ও গণতন্ত্র রক্ষা করবে।
বক্তারা বলেন, আমরা আব্দুর রহিমের রক্তকে বৃথা যেতে দিতে পারি না। তাই এই শোককে শক্তিতে রুপান্তরিত করতে হবে। তার এই রক্ত দেওয়া তার এই আত্মত্যাগকে আমাদেরকে ধারণ করে আমাদেরকে আরও গতিশীল হয়ে আরো দুর্বার হয়ে আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে এই সরকারকে পরাজিত করতে হবে।