
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পৌরশহরে একটি গাভী গরু নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের মারপিটে মহিলাসহ ৪ জন আহত হয়েছে। গত শনিবার (১৬ জুলাই) রাতে পৌরশহরের হিজলগাড়ী গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পৌরশহরের হিজলগাড়ী গ্রামের মৃত আমির উদ্দিনের ছেলে শহিদুল ইসলাম বাড়ীর লোকজসহ গত শুক্রবার (১৫ জুলাই) বিকেলে বিয়ের দাওয়াত খেতে যায়। এই সুযোগে পৌরশহরের সিধনগ্রামের শাহ আলমের ছেলে সোহেল মিয়াগংরা শহিদুলের বাড়ী হতে একটি গাভী গরু তাদের বাড়ীতে নিয়ে যায়। গাভী গরুটি বাড়ীতে না থাকার কথা শহিদুল জানতে পেরে বাড়ীতে এসে অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। একপর্যায়ে মাইকিং করিলে বিবাদীগণ পরিকল্পনা মোতাবেক রাতের আধারের তাদের ফুফু’র বাড়ীর পিছনে বাঁশঝাড়ে গরুটি ছেড়ে দেয়। উক্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জের ধরিয়া ঘটনার দিন রাতে বাদী শহিদুলের বাড়ীর সামনে এসে বিবাদীগণ বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এসময় বিবাদীগণ তাদের হাতে থাকা বাঁশের লাঠি, লোহার রড, পাইপ দ্বারা এলোপাথারী মারপিট করিয়া বাদী শহিদুলের স্ত্রী রানী বেগম (৩২), বড় ভাবী রানী বেগম (৪৬), বড় ভাই আয়নাল হক (৫৬) ও ভাতিজা রবিউলকে (২৫) গুরুতর হাড়ভাঙ্গা জখম করে। জখমীদের ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বিবাদীগণ আরো হুমকি প্রদান করে যে, বাদীপক্ষের লোকজদের সুযোগমত পেলে মারপিটসহ জখম করিবে।
এ ঘটনায় শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে সোহেল মিয়া (২৩), ইমান হোসেন (২১), জুয়েল মিয়া (২৩), নুর হোসেন (২৬) ও জোসনা বেগম (৪২)সহ আরো অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে বিবাদী করে থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন।
থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মাসুদ রানা অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অভিযোগটি তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন।