
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ব্রক্ষপুত্র ও যমুনার পানিবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে মুন্সিরহাট ক্রসবাধটি হুমকির সম্মুক্ষীন হয়ে পড়েছে। আর এদিকে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৮ হাজার পরিবার। অন্যদিকে ভাঙ্গনে গৃহহারা হয়েছে প্রায় দেড়শ পরিবার। এছাড়াও ভাঙ্গনের মুখে শত শত বিঘা জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ব্রক্ষপুত্র ও যমুনা নদী বেস্টিত পাঁচটি ইউনিয়নের ২০টি গ্রামের নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যা কবলিত গ্রামগুলো হলো ভাংগামোড়, সাংকিভাংগা, উত্তরউল্যা, দক্ষিণ উল্যা, বরমতাইর, হাট ভরতখালি, গোবিন্দি, বাঁশহাটা, উত্তর সাথালিয়া, দক্ষিণ সাথালিয়া, হাসিলকান্দি, হাটবাড়ী, সাঘাটার একাংশ, চিনির পটল, হলদিয়া, বেড়াসহ ২০টি গ্রাম। পানিবন্দি পরিবারগুলো মুন্সিরহাট হাই স্কুল ও ভরতখালি বন্দর হাই স্কুল ও বাধে আশ্রয় নিয়েছে।
সাঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইট জানান, বন্যায় পানিবন্দিদের সরকারিভাবে সহায়তা দেওয়া হয়নি। তবে নদী ভাংগা ১০০ পরিবারের মাঝে ১ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, মুন্সিরহাট ক্রসবাধটি হুমকির সম্মুক্ষীন হয়ে পড়ায় নদীর তীরবর্তী মানুষদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড গাইবান্ধার অধিনে ক্রসবাধটি রক্ষার জন্য ২৫০ কেজি ওজনের জিও ব্যাগ ডাম্পিং এর কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মর্কতা জানান। বন্যায় পানিবন্দি মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসন তথা ইউএনও সরদার মোস্তফা শাহিন সার্বিক তত্ত্বাবধান করছেন। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ফুলছড়ি ঘাট ব্রক্ষপুত্র পয়েন্টে গত বুধবার বিকাল ৩টায় ওয়াটার লেবেল ছিল ১৯.৯৫ সে. মি। যা বিপদ সীমার ৬০ সে.মি.। তবে পানি বৃদ্ধি স্থির রয়েছে বলে জানানো হয়।