
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে দেশের সব রাজনৈতিক দল এবং জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি যুদ্ধে নামতে হবে। তাহলে দেশে গণতন্ত্র ফিরে পাবো।’
শুক্রবার (২৭ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে ‘নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার’ দাবিতে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তারা (আওয়ামী লীগ) কেয়ারটেকার সরকার চেয়েছিল। বেগম খালেদা জিয়া সেটা সংবিধানে সংযোজন করেছিলেন। কিন্তু এরা নিজের স্বার্থের জন্য কেয়ারটেকার সরকার বাতিল করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়েছে।’
২০ দলীয় জোট শরিক দল ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্ব আরও বক্তব্য দেন গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বাবু নিতাই রায় চৌধুরী, জামায়াত ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান প্রমুখ।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা দেশের সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য আলোচনা করছি। আমরা বিশ্বাস করি, অধিকাংশ দল দেশপ্রেমী, গণতন্ত্রকামী এবং দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়।’
‘ছাত্রদলের মিছিলে ছাত্রলীগের হামলার’ প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) এবং পরশু (বুধবার) ন্যক্কারজনকভাবে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের পিটিয়েছে। এটা দেখে সেই ২০০৬ সালের লগি-বৈঠার কাহিনি মনে পড়ে গেল। আসলে আওয়ামী লীগ জন্মের পর থেকে সন্ত্রাস করে এই দল তৈরি করেছে।’
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত নেতাকর্মীরা ঘরে ফিরবে না।’