ভারতের গুজরাটের পোরবন্দরের মৎস্যজীবীদের জীবনধারণ করা দুর্বিষহ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা চরম পর্যায়ে দাবি করে এরই মধ্যে অন্তত ৬০০ মৎস্যজীবী স্বেচ্ছায় মৃত্যুর আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার পোরবন্দরের গোসাবারা জলাভূমির মৎস্যজীবীদের নেতা আল্লারাখা ইসমাইল ভাই থিম্মার গুজরাট হাই কোর্টে আবেদন করেছেন, তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা দিনে দিনে চরম খারাপ হয়েছে। এর কারণ হিসেবে ক্ষমতাসীন দলের রাজ্য সরকারের বৈষম্যকে উল্লেখ করা হয়েছে। সে কারণে তিনি এবং তার সঙ্গে ৬০০ জনকে স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দেওয়ার আবেদন করেছেন আদালতে।
মৎস্যজীবীদের নেতা আল্লারাখা ইসমাইল ভাই থিম্মার অভিযোগ করেছেন, হিন্দু মৎস্যজীবীদের সরকার সব রকম সুবিধা দিচ্ছে, অথচ তাদের দিকে কেউ ফিরেও তাকাচ্ছে না। তার কথায়, আমাদের ভাতে মারার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
হাইকোর্টে একই আবেদন জানানো হয়েছে গোসাবারা মুসলিম ফিশারমেন্স সোসাইটির পক্ষ থেকেও। ওই সংগঠনের অভিযোগ, একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মৎস্যজীবীরা সরকারের বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। ওই সম্প্রদায়ের মৎস্যজীবীদের কোনোরকম সরকারি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে না। নানাভাবে তাদের হেনস্থা করা হচ্ছে।
আবেদনে আরো জানানো হয়েছে, এলাকার ১০০টি পরিবারের ৬০০ লোক মৎস্য ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। মাছ ধরার জন্য তাদের মৎস্য দপ্তরের অনুমতিপত্রও রয়েছে। তার পরেও গোসাবারা এবং নভি বন্দরে তাদের নোঙর করতে দেন না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
২০১৬ সাল থেকে তাদের এ ধরনের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে বলে আদালতে অভিযোগ জানিয়েছে পোরবন্দরের ওই মুসলিম মৎস্যজীবীরা।