1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৪০ অপরাহ্ন
৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
সশস্ত্র বাহিনীর বীর শহীদদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা সারা দেশে ৫.৫ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প অনুভূত গাইবান্ধায় নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসকের সঙ্গে জেলা ছাত্রশিবিরের সৌজন্য সাক্ষাৎ সাদুল্লাপুরে ৫০ বোতল ফেনসিডিলসহ দুই নারী মাদক কারবারী গ্রেফতার বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার আয়োজনে গাইবান্ধায় মানব পাচার শীর্ষক আলোচনা সভা ত‌ারাগ‌ঞ্জের জয়বাংলা বাজারে গণশৌচাগারে তালা: স্বাস্থ্যঝুঁকিতে সাধারণ মানুষ পলাশবাড়ীতে খেলার জগৎ মডেল বাস্তবায়নে অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বোদা উপজেলা সাংস্কৃতিক পরিষদ ক্ষুদে শিল্পীদের মননে সংস্কৃতির আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে পলাশবাড়ী উয়ন্নন ফোরামের নবগঠিত ৫১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ভবন সংকটে থমকে গেছে “দুবলাগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের” পাঠদান কার্যক্রম ।

দেশের প্রত্যেকটি ঘর আলোকিত করেছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট হয়েছে : সোমবার, ২১ মার্চ, ২০২২
  • ২৩ বার পড়া হয়েছে

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ পায়রায় দেশের সবচেয়ে বড় এবং অত্যাধুনিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধনের মাধ্যমে দেশকে শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আনার সাফল্য তুলে ধরে বলেছেন, মুজিববর্ষে দেশের প্রত্যেকটি ঘর আলোকিত করেছে সরকার, এটাই সব থেকে বড় সাফল্য।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং মুজিববর্ষে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের ঘরে আমরা আলো জ্বালাতে পারলাম এটাই হচ্ছে সব থেকে বড় কথা। আমরা আলোকিত করেছি এদেশের প্রত্যেকটি মানুষের ঘরকে।’

সোমবার (২১ মার্চ) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর দুপুরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পরিবেশবান্ধব আল্ট্রা-সুপারক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির সাহায্যে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করার মাধ্যমে, বাংলাদেশ ‘মুজিব বর্ষে’ দেশকে শতভাগ বিদ্যুৎ কভারেজের আওতায় আনার সরকারের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করে আরেকটি মাইলফলক অর্জন করেছে।কোভিড-১৯ মহামারীর প্রাদুর্ভাবে বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্ব থমকে যাওয়ার পর এটিই প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগতভাবে প্রথম কোনো উন্নয়ন প্রকল্পে সশরীরে সফর।’৭৫ পরবর্তী সরকারগুলোর এদেশকে এগিয়ে নেয়ায় কোন আন্তরিকতাই ছিল না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে ২০২২ সাল এই দীর্ঘ সময় সরকারে থাকতে পেরেছি সেজন্য কৃতজ্ঞতা জানাই বাংলাদেশের জনগণের প্রতি। ভোট দিয়ে আমাদেরকে তাঁরা নির্বাচিত করেছেন।

তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

শেখ হাসিনা বলেন, এই ১৩ বছর একটানা গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অব্যাহত রয়েছে, এরমধ্যে ঝড় ঝঞ্ঝা অনেক এসেছে, বাধা অনেক এসেছে কিন্তু সেগুলো আমরা অতিক্রম করেছি। এগুলো অতিক্রম করেও আমরা গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে পেরেছি বলেই আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি যুদ্ধ বিধ্বস্থ দেশ গড়ে তুলে জাতির পিতা একে স্বল্পোন্নত দেশের পর্যায়ে রেখে গিয়েছিলেন আজকে সেই বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে।

তিনি বলেন, ওয়াদা করেছিলাম প্রতিটি মানুষের ঘরকে আলোকিত করবো, প্রতিটি মানুষ আলোকিত হবে, সেই আলোর পথে আমরা যাত্রা শুরু করেছি। আজকের দিনটা সেই আলোর পথে যাত্রা শুরু যে সফল হয়েছে সেই দিন। এজন্য সবাইকে তিনি সহযেগিতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।দুর্গম এলাকাতেও বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পাশাপাশি আমরা সোলার প্যানেল করছি। যে সমস্ত এলাকা দ্বীপাঞ্চল- ইতোমধ্যে আমরা রাঙাবালি, নিঝুম দ্বীপ, সন্দ্বীপসহ বিভিন্ন এলাকায় নদীর নিচ দিয়ে সাবমেরিন ক্যাবল করে আমরা বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। আর যেখানে গ্রিড লাইন নাই সেখানে আমরা সোলার প্যানেল করে দিচ্ছি। আমাদের পাহাড়ী অঞ্চল, আমাদের হাওর-বাওর অঞ্চল, আমাদের দুর্গম এলাকা, প্রতিটি জায়গায় কিন্তু আমরা সোলার প্যানেল দিয়ে বিদ্যুৎ দিয়ে দিচ্ছি। অর্থাৎ কোনো ঘর অন্ধকারে থাকবে না। প্রতিটি মানুষের জীবন আলোকিত থাকবে। এটাইতো আমাদের লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ’গত ১৩ বছরে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই ১৩ বছর একটানা গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অব্যহত রয়েছে। এর মাঝে ঝড় অনেক এসেছে, বাধা এসেছে। কিন্তু সে বাধা আমরা অতিক্রম করেছি। অতিক্রম করেও আমরা গণতান্ত্রিক ধারা অব্যহত রাখতে পেরেছি বলেই আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে। আজকের বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। ’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯৬ সালে ২১ বছর পর সরকার গঠন করি। সে সময় বিদ্যুতের জন্য হাহাকার, সামান্য কিছু লোক বিদ্যুৎ পায়, গ্রামে গ্রামে তো বিদ্যুৎ ছিলই না। আমরা উদ্যোগ নিলাম, শুধু সরকারি না, বেসরকারি খাতেও বিদ্যুৎ উৎপাদন করবো। মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছাবো। ১৫শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পেয়েছিলাম, ৫ বছরের মধ্যেই আমরা ৪ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হলাম। দুর্ভাগ্য আবার, ২০০১-এ সরকারে আসতে পারিনি। ২০০৯-এ যখন সরকার গঠন করি তখন দেখলাম, বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে ৩ হাজার ২০০ মেগাওয়াট উৎপাদনে নেমে গেছে বিদ্যুৎ।’শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নিয়ে। তারা যাতে সুন্দর জীবন পায়, তাদের জীবন যেন সুন্দর হয়। ইতোমধ্যে আমরা পরিকল্পনা করে দিয়ে যাচ্ছি ২০৪১-এর বাংলাদেশ নিয়ে, সেই প্রেক্ষিত পরিকল্পনা করেছি। পাশাপাশি ২১০০ সালের ডেল্টা প্ল্যান আমরা করে দিয়েছি। নদীগুলোর ড্রেজিং করা, নৌপথ চালু করা, সেইসাথে সড়ক পথ, পুল-ব্রিজ ব্যাপকভাবে করে দিয়ে একটা যোগাযোগের ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি।’তিনি বলেন, ‘উন্নয়নের কাজ যাতে ত্বরান্বিত হয় সেই ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি। আমরা চাই আমাদের দেশ এগিয়ে যাক, জাতির পিতার স্বপ্ন আমরা বাস্তবায়ন করব, এটিই আমাদের লক্ষ্য।’প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি থাকবে না। যার যে জমি আছে, যে যা পারে, একটা কাঁচা মরিচ গাছও যদি লাগাতে পারেন, তাও লাগাবেন। সবাই কিছু না কিছু নিজেরা উৎপাদন করবেন। আর কৃষকের পাশে দাঁড়াবেন।’তিনি আরও বলেন, ‘সকল কাজ এক হয়ে করতে হবে, যাতে বাংলাদেশ আর পেছনে না পড়ে। জাতির পিতা স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। সেই সোনার বাংলা আমরা গড়ে তুলব। এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা, এটাই আমাদের লক্ষ্য।’প্রধানমন্ত্রী রমজান ও ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটিকে জাতির জন্য উপহার হিসেবে উল্লেখ করেন।পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে সহযোগিতার জন্য চীনের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।

সবচেয়ে বড়-সর্বাধুনিক প্রযুক্তির পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রকলাপাড়ার ধানখালীর পায়রাতে নির্মিত সর্বাধুনিক আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির কয়লাভিত্তিক এ তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। পায়রায় কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালুর মধ্য দিয়ে ২০২০ সালেই বাংলাদেশ আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল ক্লাবে প্রবেশ করে ২০২০ সালেই। আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ ধরনের বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশ বিশ্বের ১৩তম দেশ। এশিয়ায় সপ্তম ও দক্ষিণ এশিয়াতে বাংলাদেশ ছাড়া শুধু ভারতে এ ধরনের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে।

পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকানায় যৌথভাবে রয়েছে বাংলাদেশ ও চায়না পাওয়ার কোম্পানি (বিসিপিসিএল)। বাংলাদেশের নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি (এনডাব্লিউপিজিসিএল) ও চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি এক্সপোর্ট অ্যান্ড ইমপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) সমান অংশীদারে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়েছে।বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, ২০০৯ সালে দেশে বিদ্যুৎ সুবিধা প্রাপ্ত জনগোষ্ঠী ছিল ৪৭ শতাংশ। গত ১৩ বছরে ৫৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে এখন শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছেন। সম্ভাব্য সকল এলাকায় সঞ্চালন লাইন স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে সরকার। একেবারের দুর্গম এলাকাগুলোতে সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে।২০০৯ সালে গ্রাহক সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৮ লাখ। গত ১৩ বছরে ৩ কোটি ১৩ লাখ বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা ৪ কোটি ২১ লাখ। ২০০৯ সালে দেশে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট, বর্তমানে এ ক্ষমতা ২৫ হাজার ৫১৪ মেগাওয়াট (ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্যসহ)।২০০৯ সালে দেশে বিদ্যুৎ কেন্দ্র ছিল ২৭টি, বর্তমানে বিদ্যুৎ কেন্দ্র ১৫০ টি। ১৩ হাজার ২১৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার আরও ৩৩টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে।২০০৯ সালে বিদ্যুতের বিতরণ লাইন ছিল ২ লাখ ৬০ হাজার কিলোমিটার, বর্তমানে ৬ লাখ ২১ হাজার কিলোমিটার সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে মানুষের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। দুর্গম এলাকার মানুষকে বিদ্যুতের আওতায় আনতে ৬০ লাখের বেশি সোলার প্যানেল স্থাপন করা হয়েছে।বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ এখন ভারত ও পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছে, দক্ষিণ এশিয়ার যে দেশগুলো তাদের জনসংখ্যার ৯৮ শতাংশ এবং ৭৪ শতাংশকে বিদ্যুৎ নেটওয়ার্কের আওতায় এনেছে।

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft