
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোহাম্মদ আল মারুফের হস্তক্ষেপে বন্ধ হল একটি বাল্য বিয়ে।
গত রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের রামডাকুয়া গ্রামের একতা বাজার সংলগ্ন এক বাড়িতে ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাল্য বিয়ের আয়োজন চলছিল। গোপন খবরের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছুটে যান ঘটনাস্থলে। প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে ছুটাছুটি করে বিয়ে বাড়ির লোকজন দ্রুত সটকে পড়েন। ওই বাড়ির বিভিন্ন ঘরে তল্লাশি চালিয়ে হলুদ শাড়ি পরা অবস্থায় ওই ছাত্রী এবং তার মাকে আটক করে তাদেরকে উপজেলা নিবার্হী অফিসারের কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। রাতেই ভ্রামম্যান আদালত বসিয়ে প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেয়া হবে না মর্মে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় মা ও মেয়েকে। এ সময় বেলকা ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ, ইউপি সদস্য রেজাউল ইসলাম, আব্দুল মালেক উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি শাহজান মিঞা, সাধারন সম্পাদক মান্নান আকন্দ, বেলকা ইউনিয়ন আ’লীগ সাধারন সম্পাদক মজিবুর রহমান মজি উপস্থিত ছিলেন।
ওই ছাত্রীর মা জানান, দীর্ঘদিন থেকে প্রতিবেশি এক বখাটে যুবক তার মেয়েকে যৌন হয়রানি করে আসছিল। সে কারণে তারা মেয়ের বাল্য দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিলুল্লাহকে পরামর্শ দেন উপজেলা নিবার্হী অফিসার।