ডাকাতির টাকা দিয়েই প্রেমিকাকে আইফোন এবং হবু শ্বাশুড়িকে ফ্ল্যাটবাড়ি কিনে দেয় অপরাধী ভিকি মল্লিক। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলায়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে এমনটা বলা হয়।
হাওড়ায় বেলিলিয়াস রোড শিল্পাঞ্চলে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত দালালদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তিন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদেরও দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদে আরও তথ্য এসেছে পুলিশের কাছে।
পুলিশ জানতে পেরেছে, ডাকাতির টাকা দিয়েই প্রেমিকাকে আইফোন এবং হবু শ্বাশুড়িকে ফ্ল্যাটবাড়ি কিনে দেওয়ার জন্য উত্তরপ্রদেশে লক্ষাধিক টাকা পাঠিয়েছিলেন ডাকাতদের একজন ভিকি মল্লিক। ভিকির পাশাপাশি হাওড়ার ডাকাতি-কাণ্ডে হেমন্ত মিশ্র ও কার্তিক রাম নামে আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে এখনও আরও দুই অপরাধী পলাতক রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এরা প্রত্যেকেই কুখ্যাত অপরাধী। গত ছয় মাস ধরে এরা কোথায় ছিলেন, কী করেছেন, সে খবর পুলিশের কাছে নেই। তাদের অপরাধমূলক কাজকর্মের কোনও খবর প্রকাশ্যেও আসেনি।
গত ৮ই ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে বেলিলিয়াস রোডে একটি লোহার সামগ্রীর দোকান থেকে ১ কোটি টাকা লুটের ঘটনা ঘটে। পালানোর সময় যানজটে গাড়ি আটকে যায় ডাকাতদের। জনাকীর্ণ রাস্তা দিয়ে দিনদুপুরে পিস্তল উঁচিয়ে ডাকাতদের দৌড় আতঙ্কিত করেছিল এলাকাবাসীকে।
সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে সেই ভিডিও। তদন্তে নেমে ওই দোকানের কারবারে জড়িত তিন দালালকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিশ জানতে পারে, ঘটনার সময় ঘটনাস্থলের আশপাশেই ছিলেন ওই তিন দালাল। এরপরেই তাদের প্রথমে আটক এবং পরে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
ওই দালালদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের সম্পর্কে জানতে পেরে তাদের একে একে গ্রেফতার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে ভিকি জানান, ডাকাতির পর টাকা ভাগ-বাটোয়ারা শেষে প্রত্যেকেই নিজের নিজের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। ওই টাকা দিয়েই প্রেমিকা মহিমা সিংহকে আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স কিনে দিয়েছেন তিনি।মহিমা উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরের বাসিন্দা। পেশায় বার ডান্সার। মহিমাকে আইফোন দেওয়ার পাশাপাশি মহিমার মা-কেও একটি ফ্ল্যাট কিনে দেওয়ার জন্য সাড়ে চার লক্ষ টাকা পাঠিয়েছেন ভিকি।
উল্লেখ্য,ভিকির বাবা কাটাপুকুর মর্গের ইনচার্জ।