চতুর্থ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শালমারা ও মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের ৩টি কেন্দ্রে গত ২৬ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ-ভোটগণনায় কারচুপি ও বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরে নির্বাচন কমিশনে তদন্তের আবেদন করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (০১ ফেব্রুয়ারি) গণ শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। ভোট কারচুপির অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তদন্তকালে গণ-শুনানীর সময় দু’পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৪ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। আহতরা স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেয়।
রংপুর বিভাগীয় আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা শাহাতাব উদ্দীনের নেতৃত্বে একটি তদন্ত দল মঙ্গলবার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদের হলরুমে তদন্ত কাজ শুরু করে। তদন্তদল কেন্দ্র তিনটির ভোট নেওয়া কর্মকর্তা, প্রার্থী ও প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে। এ সময় গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুল মোত্তালিব, উপজেলা নির্বাচন অফিসার বি.এস বজেন্দ্র নাথ উপস্থিত ছিলেন।
প্রত্যক্ষ্যদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, ইসির তদন্ত চলাকালে দুপুর ১টার দিকে তদন্তস্থলের বাইরে দুই ইউনিয়নের বিজয়ী ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীদের পক্ষ-বিপক্ষের কর্মী-সমর্থকরা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ সংর্ঘষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের ৪ জন আহত হয়। এসময় পুলিশ ও র্যাব লাঠিচার্জ করে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে উপজেলা শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইজার উদ্দীন জানান, তদন্তস্থলের বাইরে বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটলে পুলিশী হস্তক্ষেপে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।