
রাজারবাগের পীর দিল্লুর রহমানের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য তলব করে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ ৫৬টি সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। এছাড়া বিভিন্ন সাবরেজিস্ট্রি অফিস এবং বনবিভাগের কাছেও তার সম্পদের তথ্য তলব করা হয়েছে।অভিযোগ আছে শাহজাহানপুরের রাজারবাগ দরবার শরিফসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পীর দিল্লুর রহমান এবং তার অনুসারীরা দখল করেছেন সাত হাজার একর জমি। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় বন বিভাগের জমি আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে।
ধর্মকে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিয়ে বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থাকায় সম্প্রতি উচ্চ আদালত দুদককে পীর দিল্লুর রহমানের সম্পদ অনুসন্ধানের নির্দেশনা দেয়। উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় তিন সদস্যের অনুসন্ধান টিম গঠন করে দুদক। সম্প্রতি এ টিম রাজধানীতে পীরের আস্তানায় গিয়ে ব্যাপক তথ্য পেয়েছে। তবে পীর দিল্লুরের নাগাল পাওয়া যায়নি।দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, আপনারা জানেন ২৬ (২) ধারা ২৭ (১) ধারা দুদককে অসহযোগিতার করার কোনো সুযোগ নেই। সেটা কেউ করতে পারে না। তাকে তদন্ত টিমের কাছে তার বাড়িতে দেখা করতে বলা হয়েছিল, সেখানে তার দেখা পায় নাই। যারা দুদককে সহযোগিতা করে নাই তারা দুদককে অসহযোগিতার অতিরিক্ত দায়ে অভিযুক্ত হবে।এদিকে পীর দিল্লুরের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের খোঁজে নেমেছে দুদক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ সরকারি, বেসরকারি ৫৬টি ব্যাংকে তার ব্যাংক হিসাবের লেনদেন, অ্যাকাউন্ট নাম্বারসহ বিভিন্ন তথ্য চাওয়া হয়েছে। এছাড়া সব জেলায় সাব রেজিস্ট্রি অফিস এবং বন বিভাগের কাছেও পীর দিল্লুর জমি দখল কিংবা সম্পদ আত্মসাৎ করেছেন কি না তার তথ্যও তলব করা হয়েছে।
দুদক সচিব বলেন, সারাদেশের ৬৪টি সাব রেজিস্ট্রি অফিস ও তফসিলভুক্ত ৫৬টি ব্যাংক ও বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন করপোরশেনের চেয়ারম্যানের কাছে তার সম্পদের খোঁজে চিঠি দিয়েছে দুদক। এসব জায়গা চিঠি দেয়া হয়েছে কারণ কোথায় কোথায় জমি দখল হয়েছে, তার নামে কোনো অবৈধ সম্পদ আছে কিনা? এই তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান আছে। আমরা আশা করি হাইকোর্টের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে পারবো। যদি না পারা যায়, তবে হাইকোর্ট থেকে সময় চেয়ে নেয়া হবে।শিগগিরই দিল্লুর রহমান এবং তার কয়েকজন অনুসারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদক।