গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে রাতেও নির্বাচনী প্রচারণাকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা দোকান, বাড়ি ও গাড়ি ভাংচুর করে গোবিন্দগঞ্জ-মহিমাগঞ্জ রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে ৪ ঘণ্টা অবরোধের ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের মালঞ্চা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। নির্বাচনে ঘোড়া ও আনারস প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী কর্মী সমর্থকদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজকালে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
স্থানীয়রা জানাায়,শিবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদুল ইসলাম শাহীন (আনারস) ও মোহাম্মদ নূর আজম চৌধুরী রাজন (ঘোড়া) সহ চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কামারের হাট কেন্দ্র এলাকায় আনারস ও ঘোড়া প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা প্রচারণা চালায়। এ সময় একে অপরের প্রতি সাধারণ ভোটারদের বাড়ি গিয়ে অর্থ দেওয়ার অভিযোগ তুলে বাক-বিতণ্ডায় জড়ায়। একসময় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এসময় মালঞ্চা গ্রামে ঘোড়া প্রতীকের বসতবাড়ি সহ কয়েকটি দোকান-ঘর-বিদ্যালয় ও একটি প্রাইভেট কারে হামলা করে ভাংচুর চালায়।
ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ নূর আজম চৌধুরী রাজন বলেন, রাতে আনারস প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা কামারের হাট এলাকায় প্রচারণা ও অর্থ বিতরণের চেষ্টা করলে আমার কর্মীরা বাধা দেয়। এরই জেরে তারা সংঘবদ্ধভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার বসত বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় আমার কয়েকজন সমর্থকের দোকান, প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় ও একটি প্রাইভেট কারে ভাংচুর চালায়। ভাংচুরকালে সন্ত্রাসীরা আমার ঘরের টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় খাজা মিয়ার চা স্টল, সদস্য প্রার্থী শহিদুল ইসলামের নলকূপ প্রতীকের অফিস, আপেলের চা স্টল, মোমিনের গালামালের দোকানে হামলা চালায় ও জিনিসপত্র হরিলুট করে। পরে বিক্ষুব্ধ কর্মী-সমর্থকরা গোবিন্দগঞ্জ-মহিমাগঞ্জ ভায়া বোনারপাড়া সড়কটি টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে রাখে। খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মো. তৌহিদুল ইসলাম শাহীনের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, আমার কিছু কর্মী-সমর্থকরা কামারের হাট এলাকায় প্রচারণা শেষে মোটর সাইকেলযোগে ফেরার পথে শ্রীমুখ মেডিকেল মোড়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা হয়। এসময় তারা শ্রীমুখ গ্রামের মাখন নামের একজনের গলায় ধারালো অস্ত্র ধরে। এ ঘটনায় তারা জীবন বাঁচাতে মোটরসাইকেল ফেলে রেখে শ্রীমুখে পালিয়ে আসে।শ্রীমুখ গ্রামে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা শ্রীমুখ থেকে কোথায় যায় তা আমি নিজেও জানি না। আমি এরকম কোনো ঘটনার সাথে অতীতেও জড়িত ছিলম না; বর্তমানেও নেই।ঘটনাস্থলে উপস্থিত গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইজার উদ্দিন উত্তেজিত জনতাকে জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দায়েরর প্রস্তুতি চলছে।