
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার মহাসড়কের ধাপেরহাটের একবার নামকস্থানে ট্রাক থামিয়ে চিনি ছিনতাইয়ের নাটকীয় ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই ট্রাকের চালক ও চালকের সহযোগিকে আটক করা হয়েছে।
আটকৃতরা হলেন, ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া থানার আব্দুল খালেকের ছেলে ট্রাক চালক নাজমুল হক ও শেরপুরের শ্রীবদি থানার কুদ্দুস মিয়ার ছেলে হেলপার ইব্রাহিম মিয়া।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র থেকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানানো হয়।পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়,শনিবার (২০ নভেম্বর) নরসিংদী থেকে ৩২০ বস্তা চিনি চন্দ্রপুরী ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে ট্রাকযোগে (যার নম্বর ঢাকা মেট্রো-ট-২০-০৪৪৭) ঠাকুরগাঁওয়ের জাকারিয়া ট্রেডার্সের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। যথাসময়ে গন্তব্যেস্থানে চিনি বোঝাই ট্রাকটি না পৌঁছায় জাকারিয়া ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী হোসাইন জাকারিয়া ট্রাক চালক নাজমুল হকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেন। চালক তাকে জানান, টাঙ্গাইলে ট্রাক বিকল হয়ে পড়েছে, মেরামত করে রওনা দেবেন। এজন্য তিনি জাকারিয়ার নিকট থেকে বিকাশের মাধ্যমে ৭ হাজার টাকা নেন।টাকা পাঠানোর পরেও দীর্ঘসময়েও ট্রাকটি না পৌঁছায় আবারো তিনি চালকের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে ফোনটি বন্ধ পান
পরবর্তীতে মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) রাতে সুচতুর ট্রাক নাজমুল হক সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে জানায়, তার ট্রাক আটক করে ৩২০ বস্তা চিনি ছিনতাই করা হয়েছে। তার কথাবার্তায় তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সেরাজুল হকের সন্দেহ হলে নাজমুল আটক করে দীর্ঘক্ষন জিজ্ঞাসাবাদ করেন।জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তিনি চিনিগুলো রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার সদর বাজারের শ্রমিক লীগ নেতা মমিনুল ইসলামের গুদামে আছে বলে পুলিশ কে জানায়। এ ঘটনায় তাৎক্ষনিকভাবে ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে একটি জিডি করা হয়। ওই জিডি মূলে পুলিশ নিশ্চিত হয়ে বুধবার বিকালে তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সেরাজুল হক মিঠাপুকুর থানা পুলিশের সহায়তায় একদল পুলিশ শ্রমিক লীগ নেতার গুদামে যৌথ অভিযান চালিয়ে ১৭৯ বস্তা চিনি উদ্ধার করে।মিঠাপুকুর থানার পরিদর্শক (ওসি) মোস্তাফিজার জানান, চিনি উদ্ধারের ঘটনায় চিনির মালিক হোসাইন জাকারিয়া থানায় মামলা করেছেন। বাকি চিনি উদ্ধারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে শ্রমিকলীগ নেতা মমিনুল পলাতক থাকায় তাকে এখনো করা যায়নি।