গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ

তৃতীয়ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জাতীয়পার্টি (জাপা) গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জের ১০ ইউনিয়নে লাঙ্গল প্রতীক প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করেছেন। প্রত্যেক ইউনিয়নের ওয়ার্ড নেতাকর্মী ও ভোটারগণের মতামতে এ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
শুক্রবার (২২ অক্টোবর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জাতীয়পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব (রংপুর), সভাপতি উপজেলা জাতীয় পার্টি ও স্থানীয় সাংসদ ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী।
তিনি বলেন, এরআগে প্রত্যেক ইউনিয়নের ওয়ার্ড কমিটি ও নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করি। সেখানে তাঁদের সিদ্ধান্তে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়। এছাড়াও ছাপড়হাটীতে প্রার্থী দেয়ার কথা চলছে। বাকি দু’টি ইউনিয়ন ফাঁকা থাকবে।
মনোনীত প্রার্থীরা হলেন, বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে জহুরুলহাট হাজী এলাহী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা জাতীয়পার্টির সহ-সভাপতি হাজী জহুরুল ইসলাম বাদশা। সোনারায় ইউনিয়নে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন জাতীয়পার্টির সভাপতি মো. আনছার আলী সরদার। দহবন্দ ইউনিয়নে জাতীয়পার্টির উপজেলা কমিটির সদস্য মুন্সী আমিনুল ইসলাম সাজু। সর্বানন্দ ইউনিয়নে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত পেটি অফিসার ও ইউনিয়ন জাতীয়পার্টির সভাপতি মো. মশিউর রহমান সরদার। রামজীবন ইউনিয়নে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও জাতীয়পার্টির ইউনিয়ন সভাপতি এটিএম এনামুল হক মন্টু।
ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও জাতীয়পার্টির ইউনিয়ন সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এটিএম মাহবুব আলম শাহীন। শান্তিরাম ইউনিয়নে ধর্মপুর আঃ জব্বার ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক ও জাতীয়পার্টির ইউনিয়ন আহবায়ক কমিটির সদস্য এসএম মমিনুর রহমান রবিউল। কঞ্চিবাড়ী ইউনিয়নে জেলা আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয়পার্টির ইউনিয়ন কমিটির আহবায়ক আশরাফুল আলম লিটন চাকলাদার। শ্রীপুর ইউনিয়নে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও জাতীয়পার্টির ইউনিয়ন আহবায়ক কমিটির আহবায়ক মো. নজরুল ইসলাম রাজা। কাপাসিয়া ইউনিয়নে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন জাতীয়পার্টির সভাপতি মো. জালাল উদ্দিন সরকার।
মো. আনছার আলী সরদার বলেন, ‘বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে বর্তমান চেয়ারম্যান জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছেন। আমার শূন্যতা ভোটারগণ উপলব্ধি করছেন। কারণ এর আগে চেয়ারম্যান ছিলাম আমি। সে কারণেই ইউনিয়নবাসী আবারও আমাকে পরিষদে দেখতে চাচ্ছেন।
মো. জালাল উদ্দিন সরকার বলেন, ‘দগত নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়ে ইউনিয়নবাসীর সেবায় নিয়োজিত ছিলাম। আশা করি এবারও ইউনিয়নবাসী আমাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করে আমার অসমাপ্ত কাজগুলো করার সুযোগ করে দেবেন।’ হাজী জহুরুল ইসলাম বাদশা বলেন, ইউনিয়নবাসী পরিবর্তন চেয়েছে, তাই আমি তাঁদের কথা চিন্তা করে লাঙ্গলের প্রত্যাশী হই। দলের নেতাকর্মীগণ সমর্থনও দিয়েছেন আমাকে। আশা করি ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ লাঙ্গল মার্কাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবেন ইন্শ আল্লাহ।’
এটিএম এনামুল হক মন্টু বলেন, ‘আমাদের এমপি মহোদয় আমাকে লাঙ্গল প্রতীক দিয়েছেন। আশা করি তাঁর হাতকে শক্তিশালী করতে ইউনিয়নবাসী আমাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবেন।’
এটিএম মাহবুব আলম শাহীন বলেন, ‘আমার পরিষদে বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, শিশু ভাতা ও জন্ম নিবন্ধনসহ সকল ধরণের কাজ বিনা মূল্যে হতো। বর্তমান পরিষদে টাকা ছাড়া কোনো কাজ হচ্ছে না। সে কারণে আবারও আমাকে পরিষদে দেখতে চান ভোটারগণ।’
মো. মশিউর রহমান সরদার বলেন, ‘বর্তমান জাতীয় পার্টির এমপি ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী আমার ইউনিয়নে এ পর্যন্ত ৮ কোটি টাকার কাজ করেছেন। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান থাকলে উন্নয়নের মাত্রাটা আরও বেড়ে যাবে। সে কারণে ভোটারগণ আমাকে জয়ী করবেন ইন্শ আল্লাহ।’
তৃতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কমিশনের তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৮ নভেম্বর উপজেলার ১৩ ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য মনোনয়নপত্র জমা দানের শেষ তারিখ ২ নভেম্বর। এছাড়া মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ৪ নভেম্বর এবং প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১১ নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।