
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে জুয়া খেলার টাকা না পেয়ে স্ত্রী কাকুলি রানী মহন্তকে (২৯) রাতভর নির্যাতনের পর শ্বাসরোধে হত্যার পর হাসপাতালে লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে শেষ রক্ষা পায়নি স্বামী কল্লোল চন্দ্র ।শনিবার দুপুরে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেলা হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।
পরে এ ঘটনায় নিহতের বাবা চিত্তরজ্ঞন বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করেছেন।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাকিব বলেন, ওইদিন রাতে নলডাঙ্গা রেল স্টেশন এলাকা থেকে স্বামী কল্লোল কে গ্রেফতার করা হয়েছে।পরের দিন রবিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।কাকুলি রানী গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার রসূলপুর ইউনিয়নের রসূলপুর গ্রামের চিত্তরঞ্জন মহন্তের মেয়ে।নিহতের পরিবার জানায়, আড়াই বছর আগে পারিবারিকভাবে একই উপজেলার কামারপাড়া ইউনিয়নের কেশালীডাঙ্গা গ্রামের শুকলু চন্দ্র মহন্তের ছেলে কল্ললের সাথে কাকুলির বিয়ে হয়। এর পর থেকে বিভিন্ন সময় যৌতুক চেয়ে কাকুলিকে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করে আসছিল কল্লোলসহ তার পরিবার। তাছাড়া কল্লোল নিয়মিত মাদক ও জুয়া খেলার টাকার জন্য স্ত্রীকে চাপ দিয়ে আসছিল।শুক্রবার রাতে কল্লোল স্ত্রীর কাকুলির কাছে জুয়া খেলার টাকা চেয়ে বসে। কিন্তু কাকলি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে রাতভর তাকে মারপিট করা হয়। পরে শেষ রাতের দিকে কাকুলিকে গলাটিপে হত্যা করে লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায় কল্লোলসহ তার পরিবারের লোকজন।জেলা হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) কর্মকর্তা মো. ওবাইদুল্লা জানান, গৃহবধূকে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে হাসপাতালে আনা হয়। পরে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। এরপরেই গৃহধূর লাশ জরুরি বিভাগে রেখে স্বামীসহ সবাই পালিয়ে যায়। পরে তার বাবা-ভাই লাশ গ্রহণ করে।’তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় হাসপাতালের ওসিসি বিভাগ থেকে সব ধরনের আইনি সহায়তা দেয়া হবে।