
গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদ-নদীর পানি কিছুটা উন্নতি শুরু করেছে। শনিবার বিকেল ৩টা থেকে রোববার বিকাল ৩টা পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্রের পানি ২১ সে.মি. কমে বিপদসীমার ২১ সে.মি. উপরে এবং ঘাঘট নদীর পানি ২২ সে.মি. কমে বিপদসীমার ৭ সে.মি. নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। ফলে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। এদিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তের মধ্যে বিতরণের জন্য ১শ’ মে. টন চাল, ১ হাজার ৫শ’ প্যাকেট শুকনো খাবার ও নগদ ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা বিতরণের কাজ অব্যাহত।
জেলা ত্রাণ দপ্তর জানা গেছে, জেলার সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি ও সদর উপজেলার ১৯টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়েছে। এরফলে ১৯ হাজার ১৫৭টি পরিবারের ৮৫ হাজার ৯৭৫ ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যায় ১ হাজার ৩৭৫টি ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এদিকে বন্যায় রোপা আমন, শাক সবজি ও আমন বীজতলার ক্ষতি হয়েছে ১ হাজার ১৫৭ হেক্টর জমির।