
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাময়িক মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে করা আবেদনে মতামত দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।তবে তিনি কী মতামত দিয়েছেন তা জানাননি।এই আবেদনে মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) মতামত দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী।তিনি বলেন, ‘মতামত দিয়ে আবেদনটি আবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি।’মতামতে কী লিখেছেন, এমন প্রশ্নে আনিসুল হক বলেন, ‘মতামত আমি কী দিয়েছি, সেটাতো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত যাবে। এখন তো আমি বলতে পারব না।’এর আগে গত সপ্তাহে খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার তার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর এ আবেদন করেন। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মতামতের জন্য আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বর্তমানে জার্মানিতে রয়েছেন।
আগামী শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। মন্ত্রী দেশে আসার পর আইন মন্ত্রণালয়ের এ মতামতের ভিত্তিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে।উল্লেখ্য, দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড পাওয়া খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে কারাগারে যান। কোনোভাবে তাকে মুক্ত করতে পারছিল না বিএনপি।এর আগে, দেশে করোনাভাইরাস মহামারির শুরুর সময়টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন নিয়ে যাওয়ার পর বিশেষ বিবেচনায় মানবিক কারণে দুটি শর্তে মুক্তি পান বিএনপি নেত্রী।২০২০ সালের ২৫ মার্চ প্রথমে ছয় মাসের জন্য সাময়িক মুক্তি দেয়া হয় খালেদাকে। পরে দফায় দফায় এই মেয়াদ আরও বাড়ানো হয়। দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ২৪ সেপ্টেম্বর। এর আগেই মুক্তির মেয়াদ আরও এক দফা বাড়ানোর আবেদন করল সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পরিবার।২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয় খালেদা জিয়ার। এই মামলায় বন্দি থাকাকালেই তার বিরুদ্ধে হয় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা। এ মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ড পান বিএনপি নেত্রী। আগের মামলায় হাইকোর্টে আপিল করার পর সাজা হয় দ্বিগুণ। ফলে মোট ১৭ বছরের কারাদণ্ড হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর।নির্বাহী আদেশে কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পর রাজনীতি থেকে অনেকটাই দূরে খালেদা জিয়া। এই সময়ে যোগ দেননি দলীয় কোনো কর্মসূচিতে। লন্ডনে থেকে দলের দিক-নির্দেশনা নিচ্ছেন তার ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।