
সারাদেশের গ্রাম পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়া অনিবন্ধিত সুদের ব্যবসা বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটে ৬৪ জেলার ডিসি- এসপিকে বিবাদী করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি জাকির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিট দায়ের করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, দেশের প্রত্যেকটি এলাকায়, প্রতিটি গ্রামে সমবায় সমিতির নামে সুদের ব্যবসা চলছে। আবার অনেকে ব্যক্তিগতভাবে ঋণ দেওয়ার নামে উচ্চ হারে সুদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। কোনো নিবন্ধন নেই তাদের। সাধারণ মানুষ এসব সুদকারবারিদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। তাদের সাপ্তাহিক ও মাসিক ভিত্তিতে আদায় করা সুদের পরিমাণও আকাশছোঁয়া। ১০ হাজার টাকায় প্রতি সপ্তাহের সুদ ৫শ’ থেকে ৬শ’ টাকা, কারোক্ষেত্রে ১ হাজার টাকা, মাসে সুদ হিসেবে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করেন তারা।
তিনি বলেন, অনেক পরিবার অনিবন্ধিতভাবে গজিয়ে উঠা এসব সমবায় সমিতি ও সুদকারবারি থেকে ঋণ নিয়ে সুদের বোঝা টানতে টানতে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। অনেক ক্ষেত্রে প্রশাসনের চোখের সামনে তারা সুদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাই সারাদেশের অনিবন্ধিত সুদের সব ধরনের ব্যবস্থা বন্ধ করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছি। রিটে ৬৪ জেলার ডিসি-এসপিকে বিবাদী করা হয়েছে।
এর আগে ২৯ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ‘দাদনের ফাঁদে মানুষ দিশেহারা, সদিচ্ছা থাকলে ভাঙা যায় এই সিন্ডিকেট’ ক্যাপশন দিয়ে একটি ভিডিও আপলোড করেন ব্যারিস্টার সুমন। তিনি বলেন, সুদ বা দাদন কারবারিদের চাপে পড়ে মানুষকে জায়গা-জমি বন্ধক দিতে হয়, বিক্রি করে দিতে হয়। আবার আত্মহত্যাও করছে অনেকে। তাছাড়া ধর্মীয় দিক থেকেও এটি ঠিক না। আজকের এই মুজিববর্ষে আমাদের অঙ্গীকার হোক দাদন ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করা। তাহলেই আমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারব।