
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পৌরশহরের নুরপুর গ্রামের বাসিন্দা আনসার সদস্য আনোয়ার মিয়া (আইডি নং-২৭১ ১৮)। সে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আনসার ক্যাম্পে সহকারী ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেখানে কর্মরত থাকাকালে তাকে অকারণে প্রত্যাহার করেছেন উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা। এ সংক্রান্ত বিষয়ে গত ১৮/০৮/২১ তারিখে আনসার সদস্য আনোয়ার মিয়া একটি লিখিত অভিযোগ আনসার ও ভিডিপি রংপুর রেঞ্জের পরিচালক বরাবর দাখিল করেন।
অভিযোগের আলোকে জানা যায়, আনসার সদস্য আনোয়ার মিয়া কয়েক মাস আগে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সহকারী ক্যাম্প ইনচার্জ হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পর হতে সে দক্ষতার সহিত তার ডিউটি পালন আসছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় সে গত ১৭ জুলাই তারিখে হৃদরোগে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগে চিকিৎসাধীন থাকাকালে ক্যাম্প ইনচার্জ পিসি ফারুক তাকে ক্যাম্পের দায়িত্ব অর্পন করে ছুটিতে বাড়ীতে যায়। সে চিকিৎসা শেষে ক্যাম্পে এসে আনসার সদস্যদের খোঁজ নিলে ৫৪ জন আনসার সদস্যদের মধ্যে ২৪ জনকে হাজির পায়। বাকী আনসার সদস্যদের বিষয়ে ক্যাম্প ইনচার্জ পিসি ফারুককে অবগত করার চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পায়। পরে তিনি ওইসব আনসার সদস্যদের সহিত ফোনে যোগাযোগ করিলে তারা জানায় এপিসি আফজালের মাধ্যমে পিসি ফারুককে ১ হাজার টাকা করে দিয়ে আমরা ছুটিতে এসেছি। আনোয়ার বিষয়টি উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তাসহ মনিটরিং অফিসারকে অবগত করেন। তখন তারা বিষয়টি নোট করে রাখতে বলেন ঈদের পর দেখবেন। এদিকে পিসি ফারুক এবং এপিসি আফজালের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ক্যাম্পের আনসার সদস্যরা জেলা কমান্ড্যান্ট আনসার ও ভিডিপি বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করার ঘটনা ঘটে। তদন্তকারী কর্মকর্তা বিষয়টি বিভিন্ন কালক্ষেপনসহ ধাপাচাপা ছাড়াও আনসার সদস্যদের উপর চাপ সৃষ্টি করে। যার ফলে বিষয়টি আনোয়ারে উপর অনৈতিক ভাবে চাপিয়ে দিয়ে অমানবিক আচরণ করেন। আনসার ও ভিডিপি রংপুর রেঞ্জের পরিচালক রাতে আনোয়ারকে ফোন দিয়েছিল সে রিসিভ করতে পারে নাই। পরে গত ১০/০৮/২১ তারিখে সকাল অনুমান ৬টার দিকে আনসার সদস্য আনোয়ার দেখতে পায় পরিচালকের ফোন সে তখনই পরিচালককে ফোন ব্যাক করে তখন পরিচালক বলেন ডাঃ ফিমেলে ডিউটি কার ছিল। সেই মোতাবেক আনোয়ার ডিউটির রেজিষ্ট্রার দেখতে গেলে পিসি ফারুক এবং আফজাল ক্ষেপে উঠে। আর বলে যে, ক্যাম্পের গোপনীয় কথা পরিচালককে বলে দেন এই বলে বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজসহ লাঠিসোডা দিয়ে মারার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে আমার রুমে তালা ঝুলিয়ে দেয়। তখনই বিষয়টি উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তাকে অবগত করি। তিনি এসেও আবার একই কথা বলে পরিচালক তুমি ফোন দেয় কেন? তুমি তার লিখিত জবাব দাও। তা না হলে তোমাকে চাকুরীচ্যুত এবং কালো তালিকাভূক্ত করিব। এছাড়াও পিসি ফারুক এবং এপিসি আফজাল রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ঔষুধ চোরাকারবারী এবং বিভিন্নভাবে মেডিকেলের দূর্ণীতিবাজদের সাথে জড়িত।
এ ব্যাপারে গত ১৭/০৮/২১ তারিখে উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা ক্যাম্পে এসে আনোয়ারকে প্রত্যাহার করেন এবং চলে যেতে বলেন। ঘটনার দিন হতে ভুক্তভোগী আনসার সদস্য পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
উপরোক্ত বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।