তালেবান সরকার ক্ষমতায় আসায় আফগানিস্তানের একদল মানুষ হুড়োহুড়ি করে মার্কিন সেনাবাহিনীর বিমানে চেপে দেশ ছেড়েছেন। তবে এই শঙ্কার কোনো কারণ দেখছেন না শহিদ আফ্রিদি। পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক মনে করছেন, তালেবান যথেষ্ট ইতিবাচক।
আফগানিস্তানের অনেকের ধারণা, নারী অধিকার খর্ব করতে চায় তালেবান। বিষয়টি মানতে নারাজ আফ্রিদি। সাবেক এই তারকা অলরাউন্ডার জানালেন, ইতোমধ্যে সব ক্ষেত্রেই নারীদের কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে তালেবান।
ক্রিকেটের প্রতি ভালোলাগা আছে তালেবানের, যা দারুণ লাগে আফ্রিদির কাছে। সম্প্রতি এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘তালেবান ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। তারা নারীদের কাজে বাধা দিচ্ছে না। নারীরা রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে। তালেবান ক্রিকেটও খুব পছন্দ করে।’
তালেবানরা দ্বিতীয় দফায় আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর বিশেষজ্ঞরা ধারণা করেছিল, দেশটির ক্রিকেটে চলে যেতে পারে অন্ধকারে। এ প্রেক্ষিতে তালেবান মুখপাত্র সুহাইল শাহীন জানিয়েছেন, আফগান ক্রিকেটের ধ্বংস নয় বরং উন্নতি করতে চান তারা।
শাহীনের দাবি, আফগানিস্তানকে ক্রিকেটে এনেছেন তারাই। উর্দু নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তালেবান মুখপাত্র বলেন, ‘আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের খেলা নিজস্ব গতিতেই চলবে। অতীতের মতো এখনও আমরা ক্রিকেটের উন্নতি সাধনে কাজ করব। আমরা ক্ষমতায় থাকার সময়ই আফগানিস্তানকে ক্রিকেটের সাথে পরিচয় করিয়েছি। ক্রিকেটাররা আমাদেরই থাকবে। দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবে।’
শাহীন নিজেও একজন ক্রিকেটানুরাগী। পাকিস্তান-আফগানিস্তানের একটি ম্যাচের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘তালেবান সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে মোল্লা আব্দুস সালাম জায়ীফকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তানে খেলা দেখতে গিয়েছিলাম। আমরা আমাদের খেলোয়াড়দের লড়তে দেখে বেশ আনন্দিত ছিলাম। সে ম্যাচে পাকিস্তান অল্প ব্যবধানে জিতেছিল।’