
সত্য কথা, দেশের পক্ষে কথা বললে আওয়ামী লীগের বিপক্ষে যায়। সেইজন্যে এসব বরেণ্য ব্যক্তিদের এসরকার স্বীকৃতি দেয়নি। কিন্তু জয় বাংলা স্লোগান দেয় তারা আওয়ামী লীগের কাছে তাদের নেত্রীর কাছে প্রিয় হয়। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, রুহুল আমিন গাজী, কবি আল মাহমুদ এরা সব সময় সত্য কথা দেশের পক্ষে বলেছেন।
আজ সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএফইউজের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে রিজভী বলেন, আপনার স্বামীর বইটি কি আপনার কাছে নেই? সে বইতে লিখেছেন আমি আর শেখ হাসিনা মালিবাগ থেকে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা শুনেছি। তাহলে আপনি কাকে অনুসরণ করেন? আপনার চারপাশের চামচাদের তিনি বলেন, আপনি বলেছেন জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধ করেছে কিনা প্রমাণসাপেক্ষ ব্যাপার। ঐতিহাসিক সত্যের প্রমাণ লাগে না। আপনারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন কিনা, আপনার পরিবার মুক্তিযুদ্ধ করেছে কিনা, সেটা এখন প্রমাণসাপেক্ষ ব্যাপার। সত্যিকার অর্থে আপনারা মুক্তিযুদ্ধ চেয়ে ছিলেন কিনা? মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলেন কিনা, নাকি বৃহত্তর পাকিস্তানের ক্ষমতা ছেয়েছিলেন এটা এখন গবেষণার প্রধান টপিক।
রিজভী আরো বলেন, রুহুল আমিন গাজী একজন মুক্তিযোদ্ধা তার ওপর নিপীড়ন কেন? কারণ একটাই তিন সত্য কথা বলেন, লিখনীর ক্ষুরধার, আর লিখনী ক্ষুরধার হলে এই সরকারের সমালোচনা আসবে। একজন বিবেকবান মানুষ যদি সে সাংবাদিক হয় তাহলে তিনি লিখবেন না? অবশ্যই লিখবেন। আর এই অপরাধে তিনি আজ কারাগারে। আর যারা দুর্নীতি করছে, সন্ত্রাস করছে, তারা দিব্যি ঘুরে বেড়ান এমপি মন্ত্রী হন।
বিক্ষোভ সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন নয়া দিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, ডিইউজের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, কবি আবদুল হাই শিকদার প্রমুখ।