
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গায় পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে প্রতিবেশী মমিনুল ও তার পরিবারের লোকজনের অতর্কিত হামলায় ৫ জন গুরুতর আহত হয়েছে। হামলার এ ঘটনাটি ঘটেছে সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের পূর্বখামার দশলিয়া গ্রামে ।
আহতরা হলেন, ওই গ্রামের আলমগীর হোসেন,ফিরোজ মিয়া,বাবু, আজাদ ও পাভেল।স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ফিরোজ মিয়া ও আলমগীর কে সংকটাপন্ন অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অপর ৩ জনকে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে দেয়।
এ ব্যাপারে আহত আলমগীরের মা আলেয়া বেগম সংশ্লিষ্ট ধারায় সাদুল্লাপুর থানায় একটি মামলা রুজু করেন। তবে এখন পর্যন্ত পুলিশ কোন আসামী গ্রেফতার করতে পারেনি। সাদুল্লাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কনক বলেন,আসামীদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।
স্থানীয় ও মামলার বর্ণিত সুত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের জহুরুল ইসলামের কাছ থেকে প্রতিবেশী মমিনুল ইসলাম বেশ কিছুদিন আগে ১৫ হাজার ধার নেয়। ওই টাকা আজকাল পরশু দেই দিচ্ছি বলে নানা ভাবে তালবাহানা করতে থাকে।
ঘটনার দিন আবারো টাকা চাইতে গেলে মমিনুলের সাথে জহুরুলের তুমুল বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এ সময় জহুরুলের মামাতো ভাই বাবু,তার বড় ভাই আলমগীর, ভাতিজা পাভেল ও আজাদ ঘটনাটি জানার জন্য এগিয়ে গেলে মমিনুল উত্তেজিত হয়ে উঠে।
একপর্যায়ে মমিনুল ও তার ভাই মোশারফ সহ নারী পুরুষ কয়েকজন সংঘবদ্ধ হয়ে লাঠি সোটা ও দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিত ভাবে বাবু ও আলমগীর সহ অন্যান্যদের এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট ও ছুরিঘাত করে রক্তাত্ত জখম করে হত্যার চেষ্টা চালায়।
মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে মামলার বাদী আলেয়া বেগমের সাথে কথা বললে তিনি বলেন,মমিনুল ও তার পরিবারের লোকজন আমার দুই ছেলে কে হত্যার চেষ্টা করেছিল। অল্পের জন্য আল্লাহ আমার ছেলে দুটাকে বাঁচাইছে।আমি এর বিচার চাই।
হামলার শিকার আলমগীর বলেন,আমি ও আমার ছোট ভাই বিষয়টি আপোষের জন্য এগিয়ে যাই। এতে মমিনুল আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে ও আমার ভাই কে লাঠি ও ধারালো ছোড়া দিয়ে মাথায় ও বুকে স্বজোরে আঘাত করে মাটিতে ফেলে দেয়। আমি এ ঘটনার ন্যায় বিচার চাই।
ওই গ্রামের আশরাফ আলী বলেন,টাকার লেনদেন কে কেন্দ্র করে,হামলার এঘটনাটি ঘটে। তবে মমিনুল একজন উচ্ছশৃঙ্খল ছেলে। কারো সাথে কোন সময় ছোট খাট কোন কিছু ঘটলেই তিনি মারমুখী হয়ে যেমন তেমনতে ধারালো ছোড়া, দা,কুড়াল ও বটি বের করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।ফলে ভয়ে তাকে কেউ কিছু বলে না।আলমগীরের ছোট ভাই খুশু বলেন, মমিনুল আমাকে ও আমার ভাইকে হত্যার চেষ্টা করেছে।আমি সন্ত্রাসী মমিনুল সহ সকল আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের জোর দাবি জানাচ্ছি। অভিযুক্ত মমিনুল বলেন,মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমার কাছে টাকা দাবি করায় মারামারির ঘটনাটি ঘটেছে।