1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:১৫ অপরাহ্ন
১লা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
লালমনিরহাটে দুলুর রোগমুক্তি কামনায় বিএনপির দোয়া মাহফিল গাইবান্ধায় আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন পলাশবাড়ীর হোসেনপুর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে ধানের শীষ প্রতীকের প্রচারণায় লিফলেট বিতরণ গাইবান্ধায় মাসব্যাপী ফুটবল প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সনদপত্র বিতরণ সাংবাদিক রিকতু প্রসাদের মায়ের পরলোকগমন : শোক ও সমবেদনা ঢাকার সোহরাওয়ার্দীতে আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত সম্মেলন: কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে উত্তাল সমাবেশ আমদানির সংবাদে দিনাজপুরে পেঁয়াজের দাম কমেছে ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১ ঢাকায় নৃশংস হত্যাকাণ্ড: বদরগঞ্জে আশরাফুলের জানাজায় হাজারো মানুষের ঢল পলাশবাড়ীতে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত

ডেঙ্গু ও করোনার লক্ষণ এক হলেও পার্থক্য বুঝবেন কিভাবে?

  • আপডেট হয়েছে : শুক্রবার, ৯ জুলাই, ২০২১
  • ২৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক

করোনাভাইরাসে সংক্রমণ এবং মৃত্যু যখন গুরুতর আকার ধারণ করেছে ঠিক তখনই ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা দিচ্ছে।

এই প্রবণতা এখনো পর্যন্ত ঢাকা শহরের মধ্যেই বেশি দেখা যাচ্ছে। খবর বিবিসি বাংলার

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ হিসেবে দেখা যাচ্ছে, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ১৫১ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।

চিকিৎসকরা বলছেন, একজন ব্যক্তি একই সাথে কোভিড১৯ এবং ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হতে পারেন।

মশা নিধনের কার্যক্রম জোরদার করতে না পারলে পরিস্থিতি গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে বলে আশংকা করছেন চিকিৎসকরা।

বাংলাদেশে জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়।

লক্ষণ এক হলেও পার্থক্য আছে
চিকিৎসকরা বলছেন, কিছু লক্ষণ এবং উপসর্গ আছে যেগুলা শুরুর দিকে ডেঙ্গুজ্বর এবং কোভিড১৯-এর ক্ষেত্রে একই রকম।

সেক্ষেত্রে অনেক রোগীকে ডেঙ্গু জ্বর এবং কোভিড১৯ – দুটোর পরীক্ষা একসাথে করা হচ্ছে।

ঢাকার বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক শর্মিলা হুদা বলেন, ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত বেশিরভাগ রোগীর জ্বর, গায়ে ব্যথা, মাথা ব্যথা এবং চোখের পেছনে ব্যথা থাকে।

তিনি বলেন, সাধারণত এ ধরণের লক্ষণ থাকলে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়না, কারণ হাসপাতালগুলো এখন কোভিড রোগীতে পরিপূর্ণ।

তবে পরিস্থিতি যদি জটিলতার ইঙ্গিত দেয় তাহলে হাসপাতালে ভর্তি হতেই হবে। সেক্ষেত্রে অন্য কোন বিকল্প নেই।

বাংলাদেশের একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এবিএম আবদুল্লাহ বলছিলেন, ডেঙ্গুজ্বর এবং কোভিড১৯- দুটোই ভাইরাস জনিত রোগ হলে দুটোর মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে।

একই রোগী কোভিড এবং ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হতে পারে বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক আবদুল্লাহ।

তিনি বলেন, দুইটার ক্ষেত্রেই জ্বর, গলা ব্যথা, সর্দি, কাশি এবং স্বাদ না থাকা হতে পারে। করোনার ক্ষেত্রে এসব লক্ষণের সাথে নাকে ঘ্রাণ পায় না এবং কারো কারো পাতলা পায়খানা হয়।

এছাড়া করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট-জনিত সমস্যা হতে পারে, যেটি ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে হয় না বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক আবদুল্লাহ।

চিকিৎসকরা বলছেন, ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চার-পাঁচদিন পরে শরীরে লাল অ্যালার্জির মতো র‍্যাশ হতে পারে। তখন রক্তে প্ল্যাটিলেটের মাত্রা কমে যেতে পারে।

ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে শক সিন্ড্রোম হতে পারে যেটি রোগীর মৃত্যুর কারণ হয়।

কিছু লক্ষণ আছে যেগুলো থাকলে রোগীকে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। সেগুলোর মধ্যে যদি দেখা যায় যে রোগীর নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে। অথবা তার কালো পায়খানা হচ্ছে।

শর্মিলা হুদা বলছেন, গুরুতর ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে নারীদের মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তচাপ কিংবা হঠাৎ করে মাসিক হতে পারে।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জমে থাকার বৃষ্টির পানিতে এডিস মশার বংশ বিস্তার হয়, যেটি ডেঙ্গু জ্বরের জন্য দায়ী। ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ করার জন্য একমাত্র উপায় হচ্ছে এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধ করা।

এটি করতে না পারলে চিকিৎসা দিয়ে কুলানো সম্ভব হবেনা বলে সতর্ক করে দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

তবে ঢাকা শহরের অনেক বাসিন্দার অভিযোগ হচ্ছে, মশা নিধন করার কোন কার্যক্রম চোখে পড়ে না। মশা নিধন করার দায়িত্ব হচ্ছে সিটি কর্পোরেশনগুলোর।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান বলেন, এডিস মশার লার্ভা ধ্বংস করার জন্য গত বছর সেসব বাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হয়েছিল তাদের একটি তথ্যভাণ্ডার রয়েছে।

সেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে চলতি বছর এপ্রিল মাসে মোবাইল ফোনে বার্তা পাঠিয়ে সতর্ক করে বলা হয়েছে, চলতি বছরও যদি তাদের স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়, তাহলে গতবারের চেয়ে বেশি জরিমানা করা হবে।

এ ধরণের এক হাজার সাতশ বার্তা পাঠানো হয়েছে বলে জানান ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

তিনি দাবি করেন, তাদের আওতাধীন এলাকায় সপ্তাহে দুইদিন মশার ঔষধ ছিটানো হয় এবং একই সাথে বিভিন্ন এলাকার মানুষের জন্য নানা ধরণের সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বৃহস্পতিবার বলেছেন, এডিস মশার বংশ বিস্তার ঠেকাতে বিভিন্ন স্থাপনায় যাতে বৃষ্টির পানি জমে না থাকে সেজন্য শুক্রবার থেকে ঢাকায় ২০টি মোবাইল টিম কাজ শুরু করবে।

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft