
“নেতিবাচক রাজনীতির কারণে নির্বাচন ও আন্দোলনে বিএনপির ব্যর্থতা স্পষ্ট। তাদের মেরুদণ্ড ভেঙে গেছে এবং সংগঠন হয়ে গেছে দুর্বল।” এমন মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “নেতিবাচক রাজনীতির কারণে নির্বাচন ও আন্দোলনে বিএনপির ব্যর্থতা স্পষ্ট। তাদের মেরুদণ্ড ভেঙে গেছে এবং সংগঠন হয়ে গেছে দুর্বল, তাই অনেকেই মনে করেন বিএনপি শেষ হয়ে গেছে।” তিনি নেতা-কর্মীদের সতর্ক করে বলেন, “বিএনপি সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হতে পারে কিন্তু আওয়ামী লীগের বিরোধী বলয় হিসেবে তারা মোটেই দুর্বল নয়।”
বিএনপি ‘দায়িত্বশীলতা’ ভুলে গিয়ে মিথ্যাচার করছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বিএনপির অপপ্রচার ও মিথ্যাচারের জবাব অনিচ্ছাসত্ত্বেও দিতে হয়, তা না হলে জনগণ তাদের মিথ্যাচারকেই সত্য বলে ধরে নেবে।” “পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দেওয়ার মানসিকতা আওয়ামী লীগ পোষণ করে না। এখন রাজনীতি হচ্ছে মানুষের সুরক্ষার পাশাপাশি অসহায় ও খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়ানো।”
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় বিএনপি জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে ঘরে বসে পাঁচ দফা প্রস্তাব দিয়েই তাদের দায়িত্ব শেষ করেছে বলেও অভিযোগ করেন ওবায়দুল কাদের।
বিএনপির প্রস্তাবের অধিকাংশই বাস্তবায়ন হয়েছে এবং কিছু বাস্তবায়নাধীন আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বিএনপি এর পরে একদিন বলতে শুরু করবে, সরকার বিএনপির পাঁচ দফা প্রস্তাব মানলে পরিস্থিতির আরও উন্নতি ঘটতো।”,“দুর্যোগ কিংবা সংকটে জনগণ থেকে দূরে সরে উট পাখির মত বালিতে মাথা গুঁজে রাখার নীতিই বিএনপির রাজনীতি।” এমনটাই দাবি করেন ওবায়দুল কাদের।
এসময় মহামারি থেকে উত্তরণ ও জনগণের জীবন-জীবিকার সুরক্ষায় দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ‘অদৃশ্য শত্রু’ মোকাবিলায় সরকারকে সহযোগিতা করার আহবান জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।