
অভিনেত্রী পরীমনিকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় কারাগারে থাকা ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিকে জামিন দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহজাদী তাহমিদার আদালত জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। এ সময় পাঁচ হাজার টাকার মুচলেকা নেওয়া হয়। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাভার থানার পরিদর্শক মো. কামাল হোসেন নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিকে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করেন। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ তার বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাদের ৫ হাজার টাকা মুচলেকা নিয়ে আগামী ধার্য তারিখ পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে গত ১৪ জুন নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমির নাম উল্লেখ করে মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন পরীমনি। এজাহারে তিনি বলেন, এক নম্বর আসামি (নাসির উদ্দিন মাহমুদ) আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং আমার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করে এবং আমাকে জোর করে ধর্ষণের চেষ্টা করে। সে উত্তেজিত হয়ে টেবিলে থাকা গ্লাস ও মদের বোতল ভাঙচুর করে আমার গায়ে ছুড়ে মারে। তখন কস্টিউম ডিজাইনার জিমি নাসির মাহমুদকে বাধা দিতে গেলে তাকেও মারধর করে নীলাফোলা জখম করে।
পরী মণি আরো বলেন, আমি প্রথমে জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ নম্বরে ফোন দিতে গেলে আমার ফোনটি টান মেরে ফেলে দেওয়া হয়। এ সময় দুই নম্বর আসামিসহ অজ্ঞাতনামা চার জন এক নম্বর আসামিকে ঘটনা ঘটাতে সহযোগিতা করে।
ওই দিনই উত্তরার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে নাসির, অমি ও তিনজন নারীকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।