1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১১:০৩ পূর্বাহ্ন
১লা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
লালমনিরহাটে দুলুর রোগমুক্তি কামনায় বিএনপির দোয়া মাহফিল গাইবান্ধায় আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন পলাশবাড়ীর হোসেনপুর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে ধানের শীষ প্রতীকের প্রচারণায় লিফলেট বিতরণ গাইবান্ধায় মাসব্যাপী ফুটবল প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সনদপত্র বিতরণ সাংবাদিক রিকতু প্রসাদের মায়ের পরলোকগমন : শোক ও সমবেদনা ঢাকার সোহরাওয়ার্দীতে আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত সম্মেলন: কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে উত্তাল সমাবেশ আমদানির সংবাদে দিনাজপুরে পেঁয়াজের দাম কমেছে ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১ ঢাকায় নৃশংস হত্যাকাণ্ড: বদরগঞ্জে আশরাফুলের জানাজায় হাজারো মানুষের ঢল পলাশবাড়ীতে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ২৪ দালালকে ধরে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে , র‌্যাব

  • আপডেট হয়েছে : বৃহস্পতিবার, ১০ জুন, ২০২১
  • ২৬ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ২৪ দালালকে ধরে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। তাদের সর্বোচ্চ এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েচে।

এই সাজার পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতালে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকেন আনসার সদস্যরা। তাহলে তারা এতদিন কী করলেন?

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টাব্যাপী অভিযান পরিচালনা করেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব-৩) ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানের নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু।

এ ব্যাপারে কথা হয় ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকা ৩৬৫ জন আনসার সদস্যের প্রধান প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) মিজানুর রহমানের সঙ্গে।

প্রথমে জানান তিনি বিশ্রামে আছেন। তবে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব-৩) অভিযানের বিষয়টি তিনি অবগত। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ২৪ দালালকে সাজা দেওয়া হয়েছে। র‌্যাব দালালদের শনাক্ত করতে পেরেছে, আমরা পারিনি বলে ধরতেও পারিনি।

র‌্যাব জানিয়েছে, এই দালালরা দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে অসহায় রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা চালিয়ে আসছে। তাহলে আপনারা চিনতে পারেননি কেন? এই প্রশ্নের জবাবে মিজানুর রহমান বলেন, এবার থেকে আমরা আরো সচেতন থাকবো।

ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের এক চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, র‌্যাবের অভিযান দেখে খুবই ভালো লেগেছে। আমার চাকরি বয়সে কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে হাসপাতালে এরকম অভিযান চালাতে দেখিনি। র‌্যাব হঠাৎ এসে দালালদের ধরতে পারলো, আনসাররা ২৪ ঘণ্টাই নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকেন, তারা কী করলেন? আমার প্রশ্নটা ওখানেই।

অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু সাংবাদিকদের বলেন, এটি দেশের সব চেয়ে বড় একটি হাসপাতাল। সারা দেশের লোকজন এখানে এসে একটি সুন্দর সিস্টেমের মধ্যে চিকিৎসা গ্রহণ করে। কিন্তু এই দালালদরা তাদের এই সুন্দর চিকিৎসা সেবা নিতে বাধা সৃষ্টি করে। দালাল বা মধ্যস্বত্বভোগীরা এই হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স, কর্মচারীদের দৈনন্দিন কাজকর্ম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছিল। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ও ঢামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সহযোগীতায় এই অভিযান পরিচালনা করি।

তিনি বলেন, এখানে কিছু ভুক্তভোগী ছিলেন তারাও আমাদের কাছে অভিযোগ করেছেন। সেবা নিতে আসা রোগীদের ব্রেইন ওয়াশ করে বিভিন্ন নামি বেনামী হাসপাতাল, ক্লিনিকে নিয়ে যায় দালালরা। ওই সব ক্লিনিকে কম দামে ভালো সেবা দেবে বলে আশ্বস্ত করে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সেখানে তারা ভালো কোনো চিকিৎসা পান না। এই সকল অভিযোগেরও আমরা সত্যতা পেয়েছি। সেই সকল প্রাইভেট হাসপাতালগুলেতেও আমাদের অভিযান অব্যহত আছে। আমরা আজকে ঢাকা মেডিকেল থেকে ২৪ জনকে আটক করছি। তারাও স্বীকার করেছে বেশ কিছুদিন ধরে তারা রোগীদের হয়রানি, প্রতারণা করে আসছিলো। এই দালালরা শ্যামলী বা মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন হাসপাতলে রোগী নিয়ে যায় বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব দালালদের অনেকের কাছে আমরা রোগীর প্রেসক্রিপশন, বিভিন্ন ডায়াগনিস্টিক সেন্টারের কাগজ পেয়েছি। তাদেরকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি, তারা এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। তাদের এই দোষ স্বীকার করা ও অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে সর্বোচ্চ এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে হাসপাতালের কোনো স্টাফ রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দু একজন স্টাফকেও প্রথমে আটক করা হয়েছিলো। তবে পরে তাদের আইডি কার্ড দেখে ও হাসপাতালের সহকারী পরিচালকের কাছ থেকে নিশ্চিত হয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আশরাফুল আলম বলেন, এখানে গ্রাম থেকে অধিকাংশ রোগী সুচিকিৎসার জন্য আসে। আমরা এসব রোগীদের সেবা দিতে কাজ করি। আমরা চাই না তারা হয়রানির শিকার হোক। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

সরকারি কোনো কর্মচারী এসব দালালদের সাথে জড়িত আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের কাছে যদি কেউ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দেয় তাহলে আমরা অবশ্যই তাদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেবো।

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft