
বিএনপির প্রথম সারির রাজনীতিকদের বেশিরভাগই ভাড়া করা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ভাড়া করা নেতাদের একজন হচ্ছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম।
সমসাময়িক বিষয় নিয়ে রোববার সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
জিয়াউর রহমানের হত্যার রাজনীতি দেশের ইতিহাসে এটি কালো অধ্যায় উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করতে সশস্ত্রবাহিনীর হাজার হাজার জওয়ান এবং অফিসারকে হত্যা করে খুনতন্ত্র কায়েম করেছিলেন, দিনের পর দিন কারফিউ দিয়ে দেশে কারফিউতন্ত্র কায়েম করেছিলেন তবুও নিজে রক্ষা পাননি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব যে ভাষায় বিষোদগার করেছেন সেজন্য আমাকে বলতে হচ্ছে, জিয়াউর রহমান শুধু বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সাথে যুক্ত ছিলেন তা নয়, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের তিনি দেশে-বিদেশে পুনর্বাসিত করেছিলেন, দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিলেন এবং বঙ্গবন্ধুহত্যার বিচার না হওয়ার জন্য ইনডেমনিটি বিল সংসদে পাস করেছিলেন।’
ড. হাছানের মতে, ‘যে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করে তিনি ক্ষমতা দখল করেছিলেন তাদের হাতেই জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। আমরা কোনো হত্যাকাণ্ডই সমর্থন করি না এবং এভাবে যিনি মানুষ হত্যা করেন তিনি যে রক্ষা পান না, সেটির প্রমাণ হচ্ছে জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ড।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলতে চাই, তিনি যখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলেন, ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা হয়েছে। প্রকাশ্য দিবালোকে ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বেগম খালেদা জিয়ার জ্ঞাতসারে এবং তার পুত্র তারেক রহমানের পরিচালনায় যেভাবে ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা পরিচালনা করা হয়েছে, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ইতিহাসে এ ধরণের হামলা খুবই বিরল।’
হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে শুধু যুক্ত ছিল তা নয়, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে-বিদেশে পুনর্বাসিত করেছিল, বিদেশি দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিল, বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার না হওয়ার জন্য সংসদের ইনডেমনিটি বিল পাস করেছিল।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পেয়েছে জিয়াউর রহমান ও তার পরিবার। জিয়া ক্ষমতা দখল করার পর ক্ষমতাকে নিষ্কটক করার জন্য সশস্ত্র বাহিনীর হাজার হাজার জোয়ান ও অফিসারকে হত্যা করেছিল। দিনের পর দিন কারফিউ দিয়ে দেশে কাউফিউতন্ত্র কায়েম করেছিল, এরপরও জিয়া নিজে রক্ষা পাননি। যে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করে ক্ষমতা দখল করেছিলেন সেই সেনাবাহিনীর হাতেই হত্যার শিকার হন। এভাবে হত্যা করে নিজে রক্ষায় পায় না সেটার প্রমাণ হচ্ছে জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ড।
বিএনপির জন্ম ‘অবৈধভাবে’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, বিএনপির যেসব রাজনীতিবিদ আজ উচ্চ গলায় কথা বলেন, এদের বেশির ভাগই জিয়াউর রহমানের ভাড়া করা রাজনীতিবিদ। তারা অন্য দল করতেন। বিভিন্ন দল থেকে লোক ভাগিয়ে জিয়াউর রহমান দল গঠন করেছিলেন।
‘বিএনপির প্রথম সারির রাজনীতিবিদদের বেশির ভাগই হচ্ছে ভাড়া করা রাজনীতিবিদ। তাদেরই একজন হচ্ছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। ’