
ঢাকার আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে এক তরুণীকে (২২) দলবেঁধে ধর্ষণের মামলায় পাঁচ আসামির তিন দিন করে রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। অপর এক আসামি আদালতে দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
শনিবার (২৯ মে) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহজাদী তাহমিদা আসামিদের রিমান্ড আদেশ ও স্বীকারোক্তি রেকর্ড করেন।
রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো- ঢাকার তুরাগ থানার গুলবাগ ইন্দ্রপুর ভাসমান গ্রামের মো. আরিয়ান (১৮), কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনা এলাকার সাজু (২০), বগুড়ার ধুনট উপজেলার খাটিয়ামারি এলাকার সোহাগ (২৫), বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার জিয়ানগর গ্রামের সাইফুল ইসলাম (৪০) এবং নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার ধামঘর এলাকার মনোয়ার (২৪)।
এ ছাড়া বগুড়ার ধুনট উপজেলার খাটিয়ামারি এলাকার সুমন (২৪) আদালতে দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আসামিরা সবাই তুরাগ থানার কামারপাড়া ভাসমান এলাকায় ভাড়া থেকে আবদুল্লাহপুর-বাইপাইল-নবীনগর মহাসড়কে মিনিবাস চালাত।
এদিন ছয় আসামিকে আদালতে হাজির করে ৫ জনের পাঁচদিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আর অপর এক আসামির স্বীকারোক্তি রেকর্ডের আবেদন করা হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে আদালত পাঁচ আসামির তিন দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন। এ ছাড়া অপর আসামি সুমনের স্বীকারোক্তি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিকে দলবেঁধে ধর্ষণের শিকার তরুণীর মেডিকেল পরীক্ষা শেষ হয়েছে। শনিবার দুপুরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে ওই তরুণীর মেডিকেল পরীক্ষা হয়।
এর আগে, গত শুক্রবার (২৮ মে) রাতে ধর্ষণের শিকার হন ওই তরুণী। জানা যায়, গত ২৮ মে নায়ারণগঞ্জের চাষাড়া থেকে এক নারী শ্রমিক মানিকগঞ্জে বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। পরে ওই নারী মানিকগঞ্জ থেকে নায়ারণগঞ্জ যাওয়ার জন্য একটি বাসে করে আশুলিয়ার নবীনগর আসেন। পরে তিনি নবীনগরে তার এক পূর্ব পরিচিত ভাইয়ের সঙ্গে একটি মিনি বাসে উঠলে বাসের চালক ২০ মাইল নবীনগরের মাঝে ডিসি নার্সারীর সামনে এসে নারীর সঙ্গে থাকা ওই যুবককে বেঁধে ফেলে।
পরে বিভিন্ন গাড়ির ছয়জন ড্রাইভার ও হেলপার মিলে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। এ সময় ভুক্তভোগী ওই নারী চিৎকার দিলে মহাসড়কে টহলরত সাভার হাইওয়ে পুলিশ ওই গাড়িটি আটক করে। সেই সঙ্গে ছয়জন ধর্ষণকারীকেও আটক করে এবং ওই নারীকে উদ্ধার করে। পরে সকালে ছয়জন ধর্ষণকারীকে সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশ আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন তারা।
ভুক্তভোগী ওই নারী শ্রমিক ছয়জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।