নিজের কেন্দ্র ভবানীপুর ছেড়ে কেন তিনি এবারে নন্দীগ্রামে দাঁড়ালেন। জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১ এপ্রিলের ভোটে বিরোধীদের এপ্রিল ফুল করে দেওয়ার কথাও জানালেন তিনি।
আজ বুধবার নন্দীগ্রামে মনোনয়ন জমা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে মঙ্গলবার দলীয় কর্মীসভায় বক্তব্য রাখলেন তিনি।
সেখান থেকেই নন্দীগ্রামবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা না চাইলে আমি দাঁড়াব না। নন্দীগ্রাম ছেড়ে চলে যাব। আপনারা বললে তবেই কাল মনোনয়ন জমা করব।’ কেন তিনি এবার নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হচ্ছেন, সে বিষয়েও এদিন বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। একইসঙ্গে বিরোধীদের আক্রমণ করে তাঁর হুঙ্কার, ‘ধর্ম নিয়ে খেলবেন? খেলা হবে।
কিন্তু কেন নন্দীগ্রাম? মমতা বলেন, নন্দীগ্রাম আমার দু’চোখ। সিঙ্গুর আর নন্দীগ্রাম আন্দোলনের পীঠস্থান। নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীর প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘এই আসনের বিধায়ক পদত্যাগ করে চলে গিয়েছিল। আসনটি তো খালিই ছিল। আমি যখন এই আসন থেকে লড়াই করার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছিলাম তখন আপনাদের আশীর্বাদ, ভালোবাসা পেয়েছিলাম। তাই এখান থেকে আমি প্রার্থী।’ তবে মানুষ না চাইলে তিনি মনোনয়ন জমা করবেন না বলেও জানান। একইসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘ভবানীপুরে দাঁড়ালে কোনও সমস্যাই হত না। ওখানে সব কাজ করা আছে। কিন্তু, আমি কথা দিয়ে কথা রাখি। তাই এখানে লড়ব।’ অন্যদিকে, এদিন একটি চায়ের দোকানে গিয়ে নিজে হাতে চা বানান মমতা।
বহিরাগত ইস্যুতে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করেই বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ করেন। তাঁর কথায়, আমি বহিরাগত হলে তো মুখ্যমন্ত্রীই হতে পারতাম না। আবার তিনি বলেন, তুমি নন্দীগ্রামের লোক, আমি বীরভূমের লোক। তফাৎ শুধু এটুকুই।’ সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধেও সুর চড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘আমি হিন্দু ঘরের মেয়ে। আমার সঙ্গে হিন্দুত্ব নিয়ে প্রতিযোগিতায় নেমেছে। ধর্ম নিয়ে খেলতে চাইলে খেলা হবে। ১ এপ্রিল ইভিএম-এ খেলা হবে বলে আওয়াজ তোলেন তিনি।
বক্তৃতার শুরু থেকেই এদিন নন্দীগ্রাম আন্দোলনের স্মৃতিচারণা শোনা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। তিনি বলেন, বাম সরকারের অত্যাচারের মধ্যেই নন্দীগ্রামে পৌঁছেছিলাম আমি। অসুস্থ শরীরেই অনশন করেছিলাম। ১৪ মার্চ গুলি চলেছিল। সেই দিনটা ভোলার নয়। আন্দোলনের এই মাটি আমাকে সম্প্রীতি শিখিয়েছে।