
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতা সম্পন্ন জাতি গঠনে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের ভূমিকা শীর্ষক জেলা পর্যায়ের এক কর্মশালা গাইবান্ধা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম-৫ম পর্যায় হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় গাইবান্ধা জেলা কার্যালয়ের আয়োজনে এই কর্মশালার অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন মন্দিরভিত্তিক ও গণশিক্ষা কার্যক্রম-৫ম পর্যায়ের প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) রঞ্জিত কুমার দাস। কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হোসেন আলী, টিটিসির অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম, সাংবাদিক গোবিন্দলাল দাস, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ পরেশ চন্দ্র সরকার, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রণজিত বকসী সূর্য্য। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মো. শাহজাহান আলী, গাইবান্ধা প্রেস ক্লাবের সভাপতি কেএম রেজাউল হক, মন্দিরভিত্তিক ও গণশিক্ষা কার্যক্রম-৫ম পর্যায়ের সহকারী প্রকল্প পরিচালক মো. হামিদুর রহমান, সাংবাদিক দীপক কুমার পাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা গৌতম চন্দ্র মোদক ও শিক্ষিকা অর্চনা বড়ুয়া প্রমুখ।
কর্মশালায় গ্রুপ ভিত্তিক সুপারিশমালা উপস্থাপন করেন করতোয়া গ্রুপের দৃষ্টি চক্রবর্ত্তী, ঘাঘটের কবিতা রাণী দাস, ব্রহ্মপুত্রের বনলতা চক্রবর্ত্তী, যমুনার মিলা রাণী এবং বালাসী গ্রুপের বিকাশ চন্দ্র রায়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম-৫ম পর্যায় প্রকল্পে গাইবান্ধা জেলার মন্দির আঙ্গিনাকে ব্যবহার করে ৮১টি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাকেন্দ্রের মাধ্যমে ২ হাজার ৪শ’ ৩০জন শিশুকে প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষাদান করা হচ্ছে। কার্যক্রমের সকল শিশুকে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাক্রম সমাপনান্তে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়। প্রকল্প মেয়াদে ৩টি বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্রের মাধ্যমে প্রায় ৭৫ জন বয়স্ক শিক্ষার্থীকে নিরক্ষর মুক্ত করে উন্নত জীবন যাপন সম্পর্কে সচেতন করা হচ্ছে এবং ৬টি গীতা শিক্ষাকেন্দ্রের মাধ্যমে ১শ’ ৮০জন শিক্ষার্থীকে গীতিশিক্ষায় পারদর্শী করা হচ্ছে। এছাড়া মন্দিরভিত্তিক প্রকল্পের মাধ্যম গাইবান্ধা জেলায় ধর্মীয় চর্চা মানুষের আধ্যান্মিক চিন্তা চেতনার উন্মেষ ঘটায় এবং আধ্যান্মিক চিন্তা শিক্ষার্থীদের অন্তরে আদর্শ, নৈতিকতা, সততা, সহনশীলতা এবং মানবিক মূল্যবোধকে জাগ্রত করতে সক্ষম হয়। তদুপরি মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্প সমাজ থেকে সহিংসতা দূরীকরণে সহায়ক শক্তি হিসেবেও উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রাখছে।