
পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি ঃ
পীরগঞ্জে নার্গিস বেগমের (৪০) অজান্তেই তার স্বামী মোকছেদ আলী (৪৬) অটো তালাক হয়েছেন। উপজেলার জোতবাজ গ্রামের সাব-কাজী মোশারফ হোসেন শত্রুতামুলক ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে জানা গেছে। ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী ওই স্ত্রীকে গ্রাম থেকে বের করে দিয়েছে।
পারিবারিক, এলাকবাসী সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার ভে-াবাড়ী ইউনিয়নের জোতবাজ গ্রামের মোকছেদ আলী। তিনি প্রায় ২৫ বছর আগে একই ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের নার্গিস বেগমকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে ৩ ছেলে, এক ছেলে বিদেশে থাকেন। এদিকে ইউনিয়নটির নিকাহ রেজিষ্ট্রার (কাজী) নুরুল ইসলাম জোতবাজ গ্রামে মোশারফ হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে সাব কাজী হিসেবে নিয়োগ দেন। ওই সাব কাজীর সাথে মোকছেদ দম্পতির শত্রুতা ছিল। এ সুযোগে গত ১৯ জানুয়ারী ওই সাব কাজী নার্গিসের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে স্বামী মোকছেদকে তালাকনামা তৈরী করে। ৭ ফেব্রুয়ারী গ্রাম পুলিশ সদস্য রমজান আলীর মাধ্যমে তালাকনামাটি মোকছেদ আলীকে দেয়া হলে মোকছেদ-নার্গিস বাড়ীতেই ছিলেন। ঘটনাটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসী উত্তেজিত হয়ে ওই স্ত্রীকে গ্রাম থেকে বের করে দিলে সে তার বাবার বাড়ী মহেশপুরে যায়। নার্গিস বেগম বলেন, প্রায় ২৫ বছর ধরে সুখে শান্তিতে সংসার করছি। ৩ জন ছেলেও আছে। এক ছেলে বিদেশেও থাকে। অথচ কাজী আমার স্বাক্ষর দিয়ে আমার স্বামীকে তালাক দেখিয়েছে। আমি তো তালাক দেইনি। স্বামী মোকছেদ আলী বলেন, আমরা একসাথেই আছি। অথচ তালাকনামা দেয়া হলো। কাজী মোশারফের সাথে আমার শত্রুতা আছে। সাব কাজী মোশারফ হোসেনকে একাধিকবার ফোন করলে তিনি ফোন কেটে দেন। ভেন্ডাবাড়ী ইউপির চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বলেন, পরিবারটি কাজীর কুকর্মের শিকার। ইউনিয়নের কাজী নুরুল ইসলামের উচিত ছিল, বিষয়টি খতিয়ে দেখার। তিনি কোনভাবেই এই দায় এড়াতে পারেন না। তিনি আরও বলেন, আমরা ২/১ দিনের মধ্যে সামাজিকভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা করবো।