গাইবান্ধায় জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস পালন ‘টেকসই উন্নয়ন-সমৃদ্ধ দেশ, নিরাপদ খাদ্যের বাংলাদেশ’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে গাইবান্ধায় জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে ২ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে ‘খাদ্যের নিরাপদতা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সভায় বক্তারা বলেন, উৎপাদন থেকে শুরু করে খাবার টেবিল পর্যন্ত সব খাবার নিরাপদ করতে হবে। নিরাপদ খাদ্য সবার অধিকার। অনিরাপদ খাদ্য গ্রহণে ক্যান্সার কিডনি রোগ, বিকলাঙ্গতাসহ মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির সৃষ্টি হয়। এজন্য পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি অত্যন্ত জরুরি। সরকার সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ প্রণয়ন করেছে। সব খাদ্য নিরাপদ রাখতে সরকারের পাশাপাশি সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান বক্তারা।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো. সাদিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার, জেলা ভোক্তা অধিকারের সহকারি পরিচালক, জেলা মার্কেটিং অফিসার, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আব্দুদ দাইয়ান, গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের সভাপতি কেএম রেজাউল হক, সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর সাবু, শিক্ষাবিদ জহুরুল কাইয়ুম, জেলা হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি মো. তাবারক হোসেন, গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের প্রতিনিধি জয়া প্রসাদ প্রমুখ। আলোচনা সভায় জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিরাপদ খাদ্যের উপর সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করা হয় এবং নিরাপদ খাদ্য আইন, খাদ্য কর্তৃপক্ষের অভিলক্ষ্য, বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্য কেন প্রয়োজন, খাদ্য ব্যবসায়ীর পালনীয় প্রশাসনিক বিষয়াবলী, খাদ্য দ্রব্য মজুদ ও সংরক্ষণ এবং শাক-সবজি ও ফুল-মুলে ফরমালিন আতংক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া নিরাপদ খাদ্যের ৫টি ধাপ খাদ্য বাছাই করা, পরিস্কার করা, কাঁচা ও রান্না করা খাবার আলাদা রাখা, সঠিক তাপমাত্রায় রান্না করা ও সংরক্ষণ করা এবং পঁচা-বাসি খাবার সঠিক স্থানে ফেলা সম্পর্কে জনসচেতনতার বিষয়টিও নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।