
দ্বিতীয় ধাপে গত ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পূর্ব কোমরনই কেন্দ্রে পুলিশ জনতার সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের গাড়িতে আগুন ও পরবর্তীতে গাইবান্ধার বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, গাইবান্ধা পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খালেদ এর বাড়ীসহ ঐ এলাকার বেশ কিছু বাড়িতে পুলিশি হামলার ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়ে গাইবান্ধায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) শহরের ডিবি রোডে গাইবান্ধার রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃৃতিক সংগঠনসমূহের ব্যানারে এ কর্মসূচির পালিত হয়। এতে ভুক্তভোগী শতাধিক নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন। মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় পলিটব্যুরো সদস্য আমিনুল ইসলাম গোলাপ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলা সভাপতি মিহির ঘোষ, গণফোরাম জেলা সভাপতি ময়নুল ইসলাম রাজা, ওয়াকার্স পার্টির জেলা সভাপতি প্রণব চৌধুরী খোকন, জাসদ জেলা সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক জনি, বাসদ (মার্কসবাদী) পাঠচক্র ফোরামের সদস্য সচিব মনজুর আলম মিঠু, কমিউনিস্ট পার্টির জেলা সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল, উদীচী জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক ও আমরা ৯০এর যোদ্ধার আহ্বায়ক মাহমুদুল গনি রিজন, গাইবান্ধা সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর কবির তনু, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ জেলা সাধারণ সম্পাদক রিক্তু প্রসাদ, বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের জেলা আহ্বায়ক রোকেয়া খাতুন, ওয়াকার্স পার্টি (মার্কসবাদী) নেতা মৃণাল কান্তি বর্মন এবং ভূক্তভোগী মরহুম মোহাম্মদ খালেদ এর মেয়ে খালেদা আকতার রিটা ও ওই এলাকার ক্ষুদ্র দোকানী সাহেজান বেগম।
বক্তারা বলেন, গত ১৬ জানুয়ারি গাইবান্ধা পৌরসভা নির্বাচনের দিন পূর্ব কোমরনই এলাকায় পুলিশের গাড়িতে আগুন দেয়ার সাথে জড়িতদের অবশ্যই আমরা শাস্তির দাবি জানাই। কিন্তু পরবর্তীতে পুলিশ ও র্যাব আগুন দেয়ার সাথে জড়িতেদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে মোহাম্মদ খালেদের বাড়িসহ ওই এলাকার বেশকয়েকটি বাড়িতে যে হামলা-ভাংচুর চালিয়েছে এবং বাড়ির ঘরের ভিতরের ঢুকে মোটরসাইকেল, টিভি, ফার্নিচার ভাংচুর করে তা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। বক্তারা ওই হামলা-ভাংচুর ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও দোষীদের বিচার দাবি করেন।