
ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে পাঠানোর নামে প্রতারণা ও মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রাজধানীর উত্তরা থেকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ- সিআইডি তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- হাবিবুর রহমান, মামুনুর রশিদ, জামাল হোসেন এবং নাহিদুল ইসলাম পলাশ। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ২৮টি পাসপোর্ট, বিভিন্ন দূতাবাস, ব্যাংক এবং এজেন্সির ১৯টি সিলমোহর, এবং কম্বোডিয়ার ১০টি জাল ভিসা আটক জব্দ করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক শেখ ওমর ফারুক এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে উত্তরা (পূর্ব) থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন এবং বাংলাদেশ পাসপোর্ট আদেশের আইনে মামলা করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক শেখ ওমর ফারুক এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, আন্তর্জাতিক একটি মানবপাচার চক্রের বাংলাদেশি সদস্যরা বিদেশ গমনেচ্ছুদের ইউরোপের বিভিন্ন দেশ (মাল্টা, চেক প্রজাতন্ত্র, হাঙ্গেরী), মিশর, মালদ্বীপ, কম্বোডিয়াসহ বিভিন্ন দেশে পাঠানোর কথা বলে লোক সংগ্রহ করছে।
অনুমোদনহীন এজেন্সির মাধ্যমে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর অনুমোদন ছাড়া তারা প্রথমে ভিজিট ভিসায় ল্যান্ড চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে লোক পাঠায়। ভারতে নেওয়ার পরে তাদের কাছ থেকে পাসপোর্ট নিয়ে ভুয়া ভিসা দিয়ে পরিবারের কাছ থেকে নানাভাবে টাকা সংগ্রহ করে।
যারা টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে তাদেরকে বিভিন্ন স্থানে আটকে রেখে নির্যাতন করে টাকা সংগ্রহ করে। এরপর ভারতের দালালচক্র তাদের সড়ক ও বিমান পথে শ্রীলংকা নিয়ে নির্যাতন এবং টাকা আদায়ের জঙ্গলে ছেড়ে দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এই সংঘবদ্ধ চক্রে বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা ও মালদ্বীপের দালালরা জড়িত। এছাড়াও এই চক্রটি জাল ভিসা সরবরাহ করে এবং ঘন ঘন অফিস ও মোবাইল নম্বর বদল করে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে।