
প্রায় সাড়ে তিন মাস বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ রাখার পর নিষেধাজ্ঞা তুললো ভারত। সম্প্রতি দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তাদের পেঁয়াজ রফতানি নীতি (২০১৫-২০২০) সংশোধন করেছে। ওই নীতিতে রফতানি আদেশ প্রত্যাহার করার কথা বলা হয়েছে।
এই আদেশে (১ জানুয়ারি) থেকে কর্যকর হবে। রফতানি নীতি সংশোধনীতে বলা হয়েছে, ভারতের ব্যাঙ্গালোরের রোজ পেঁয়াজ ও কৃষাণ পুরনো জাতের পেঁয়াজ আমদানি নেষেধাজ্ঞা ১ জানুয়ারি থেকে প্রত্যাহার করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশের পেঁয়াজ আমদানিকারক শংকর চন্দ্র বলেন, ভারত পেঁয়াজ রফতানি খুলে দিচ্ছে। আশা করি কয়েক দিনের মধ্যে দেশের বাজারে ভারতের পেঁয়াজ আসতে শুরু করবে। কারণ ভারতে এবার পেঁয়াজ উৎপাদন ভালো হয়েছে। সেখানে তাদের চাহিদা পূরণ করে তা রফতানি করতে পারবে।
তিনি জানান, আশা করা যাচ্ছে ভারতের পেঁয়াজ প্রতি টন ৩০০ ডলারে বিক্রি হবে। এতে দেশের বাজারে কম দামে পেঁয়াজ আসতে থাকলে অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম কমে আসবে।
হিলি স্থল বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানিকারক মোবারক হোসেন জানান, রফতানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে তারা সোমবার রাত দশটার দিকে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে একটি চিঠি পেয়েছিল।
‘ভারত ১ জানুয়ারি থেকে পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দিচ্ছেন তবে ১ জানুয়ারি সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় আমদানি (২ জানুয়ারি) থেকে শুরু হবে, তিনি আরও যোগ করে বলেন, তারা এলসি খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
‘আমদানি করা পেঁয়াজ বাজারে আসলে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দাম ২০-২৫ টাকায় নেমে আসবে’ বলেও জানান মোবারক।
এদিকে চলতি বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর কোনো ধরনের ঘোষণা ছাড়াই ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়। এতে বাংলাদেশের বাজারে হুহু করে বাড়তে থাকে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটির দাম।
বাজার পরিস্থিতি এমন অবস্থায় এসে পৌঁছায় প্রতিকেজি পেঁয়াজ সর্বোচ্চ ১৩০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের এক প্রতিবেদনে পেঁয়াজের সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক রাখতে ভারতের বিকল্প হিসেবে আটটি দেশের বাজারের সন্ধান করতে পরামর্শ দেয়া হয়।
পাশাপাশি পেঁয়াজ আমদানির ওপর এলসি মার্জিন শিথিল করা হয়। সে সময় এলসি মার্জিন শূন্য রাখতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে খোলাবাজারে ও অনলাইনে পেঁয়াজ বিক্রি করা হয়।