
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ কখনো গায়ে পড়ে ঝগড়া করে না; তবে কেউ আক্রমণ করলে পাল্টা জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
আজ শুক্রবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে মাস্ক বিতরণ অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি। এসময় সংসদ ভবন এলাকায় সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে সংযুক্ত হন ওবায়দুল কাদের।
ধানমন্ডিতে দলের কার্যালয়ে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রোকেয়া সুলতানা এবং উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
দেশে বিভিন্নমুখী ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সারাদেশে আজ যে ঈর্ষণীয় উন্নয়ন হয়েছে তাতে প্রতিপক্ষ কোনো ধরনের ধন্যবাদ জানায়নি, উল্টো তারা সমালোচনা করেই যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ উন্নয়ন এবং সততা দিয়েই দেশের জনগণের মন জয় করে নিয়েছে। আর এতেই বিএনপির সহ্য হয় না। দেশে বিভিন্নমুখী ষড়যন্ত্র চলছে।
রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মানবিক কারণে প্রায় ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গাদের জন্য দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক, পর্যটন খাত ও পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। তাই সরকার তাদের ভাসানচরে স্থানান্তর করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কেউ কেউ এটা নিয়েও সমালোচনা করে যাচ্ছেন।
ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে প্রশংসা ও ‘লিপ সার্ভিস’ ছাড়া কোনো ধরনের সহযোগিতা কী পেয়েছি?
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, ২০২১ সালের প্রথম মাসেই করোনার ভ্যাকসিন পাওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। তবে এ নিয়ে আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই। ভ্যাকসিন আসার আগ পর্যন্ত সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান করতে হবে।
স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দল করলে দলের সিদ্ধান্ত মানতে হবে। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে জয়ী বা পরাজিত হলে পরবর্তীতে তাদের আর কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না।