
নড়াইল সিআইডি পুলিশ অভিযান চালিয়ে খন্দকার ওবায়দুর রহমান চুন্নু ওরফে জীবন চৌধুরী (৫০) নামে এক ভূয়া ডিজিএফআই কর্মকর্তাকে রাজবাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে।
এ সময় তার কাছ থেকে ডিজিএফআই’র একটি অবৈধ ওয়াকিটকি,ভূয়া পরিচয়পত্র, ৫টি মোবাইল ফোন, বিভিন্ন মোবাইল ফোন কোম্পানীর ৮টি সীম এবং সেনাবাহিনীর পোষাকের কাপড় দিয়ে তৈরি একটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া ওবায়দুর রহমান চুন্নুর মা মরিয়ম বেগমকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। নড়াইল সিআইডি পুলিশের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা সিআইডি কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
গ্রেফতার হওয়া ওবায়দুর রহমান চুন্নু ওরফে জীবন চৌধুরী রাজবাড়ি জেলার কালুখালি থানার রুপসা গ্রামের বাসিন্দা। সিআইডি পুলিশের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার জানান, গ্রেফতার হওয়া ভূয়া ডিজিএফআই কর্মকর্তা ওবায়দুর রহমান চুন্নু ওরফে জীবন চৌধুরীর নামে সাড়ে ২৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ২০ অক্টোবরনড়াইলের লোহাগড়া থানায় দন্ডবিধির ৪০৬/৪২০/৪৬৮/৪৭১ ধারায় একটি মামলা দায়ের হয়।
এ মামলায় ওবায়দুরের স্ত্রী মিনু চৌধুরী এবং মা মরিয়ম বেগমকে আসামি করা হয়। মামলার বাদি বাকা গ্রামের ফিরোজ মোল্যা এজাহারে উল্লেখ করেন ওবায়দুর রহমান চুন্নু ওরফে জীবন চৌধুরী লক্ষীপাশাস্থ তার ভ্যান সাইকেলের গ্যারেজে এসে নিজেকে ডিজিএফআই কর্মকর্তা এবং তার পোষ্টিং নড়াইলে বলে জানায়।
তিনি আরো বলে সেনাবাহিনীর এমইএস সিভিল শাখায় চাকুরি দিতে পারে। উক্ত চাকুরি পেতে তাকে ১২ লাখ টাকা দিতে হবে বলে জানায়।চাকুরির প্রলোভন দিয়ে সে বিভিন্ন সময়ে ফিরোজ মোল্যাসহ বিল্লু মঙ্গল রায়,তরিকুল ইসলাম এবং সিরাজুল ইসলামের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রতারণার মাধ্যমে সাড়ে ২৯ লাখ
টাকা অবৈধভাবে হাতিয়ে নিয়ে ভূয়া নিয়োগপত্র প্রদান করে।মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তরের পর সিআইডি পুলিশের একটি দল গত ১১ নভেম্বর ভোরে রাজবাড়ি জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মামলার আসামি ওবায়দুর ও তার মাকে গ্রেফতার করে।
অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার আরো জানান,ওবায়দুর একজন পেশাদার প্রতারক।তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় একাধিক মামলা রয়েছে।