
চিকিৎসার নামে মাইন্ড এইড হাসপাতালে জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম শিপন হত্যার ঘটনায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের রেজিস্ট্রার ডা. আবদুল্লাহ আল মামুনকে দুই দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত। আজ সকালে মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম এই আদেশ দেন। এর আগে আজ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কমকর্তা আদাবর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ফারুক মোল্লা আসামি ডা. আবদুল্লাহ আল মামুনকে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন।
অভিযোগ উঠেছে, যে চিকিৎসকরা প্রায় নিয়মিত মাইন্ড এইড হাসপাতালে রোগী পাঠাতেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের রেজিস্ট্রার ডা. আবদুল্লাহ আল মামুনও। পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুলকেও কৌশলে বিতাড়িত করে মাইন্ড এইড হাসপাতালে পাঠিয়েছিলেন তিনি। ওই হাসপাতালে চিকিৎসার নামে অনৈতিক বাণিজ্য করা হয়—তা জেনেশুনেও তাঁকে সেখানে পাঠানো হয়। ঘটনার দিন মাইন্ড এইড হাসপাতালের ম্যানেজার আরিফকে ফোন করে ডা. মামুন পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুলকে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করতে বলেছিলেন।
এরই মধ্যে আনিসুলের মৃত্যুর ঘটনায় ছয়জন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্যে মাইন্ড এইডের অপকর্মে ডা. মামুনের সম্পৃক্ততার তথ্য উঠে আসে। এ ছাড়া আনিসুলের ব্যাপারে হাসপাতালটির ম্যানেজারের সঙ্গে একাধিকবার সরকারি হাসপাতালের এই চিকিৎসকের কথোপকথনের তথ্য পাওয়া গেছে।
এর আগে রাজধানীর আদাবর থানায় আনিসুল করিম শিপনের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফাইজুদ্দিন আহম্মেদ বাদী হয়ে ১৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
জানা যায়, আনিসুল মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। গত ৯ নভেম্বর দুপুরে আনিসুলকে মাইন্ড এইড হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালটিতে ভর্তির কিছুক্ষণ পরই কর্মচারীদের ধাস্তাধস্তি ও মারধরে তার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করেন পরিবার। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।