
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মধ্যবর্তী নির্বাচনের নামে মধ্যবর্তী টালবাহানার প্রয়োজন নেই। সময় হলেই নির্বাচন হবে, তখন জনগণই ঠিক করবে পরবর্তী সরকারে কে থাকবে।
আজ শনিবার ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড ‘ডিএমটিসিএল’ এর উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিকের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে বক্তব্য রাখেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ডক্টর কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনাল -বিইউপি’র বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ডক্টর সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্ষমতায় যেতে চাইলে বিএনপি নেতাদের পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। যদি জনগণ চায় নিশ্চয় আপনারা সরকারে যাবেন। কেননা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাসী, জনগণের স্বাধীন মতামতকে তিনি শ্রদ্ধা করেন।
তিনি বলেন, ‘পরপর পাঁচ বার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের মানুষকে লজ্জা আর হতাশার সাগরে ডুবিয়েছিল বিএনপি। দুর্নীতির বরপুত্র হাওয়া ভবনের নামে প্রতিষ্ঠা করেছিল এক খাওয়া ভবন। অপরদিকে এদেশের রাজনীতিতে সততার অনন্য উদাহরণ বঙ্গবন্ধু পরিবার।’
আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি দেশ-বিদেশে কোথায় বৈঠক করছে, কী ষড়যন্ত্র চলছে তার খবর অজানা নয়। টাকা পয়সা দিয়ে কোথায় কোথায় মিছিল করা হচ্ছে সে খবরও আছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, গুজব সৃষ্টি করা হচ্ছে। তারা শুধু যে কোনও মূল্যে সরকারের পতন চায়। তাদের সব অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যাবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রবিরোধী চর্চায় ব্যস্ত। তারা নেতিবাচক রাজনীতি করছে। নির্বাচনে জিতলে কথা নাই। কিন্তু হারলেই নির্বাচন কমিশন ও সরকারকে দোষারোপ করে। তাদের নেতিবাচক ধারা থেকে বের হয়ে ইতিবাচক ধারার রাজনীতিতে ফেরার আহ্বান জানাই।