
মোঃ আলমগীর ইসলাম, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের বিরামপুর পৌর শহরে নাজমা নামের এক বিদেশ ফেরত নারীর উপর হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারপিট করেছে তার সহোদর ভাইবোন। এতে নাজমা বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে পরবর্তীতে আবারও তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পিঠ চিরে রক্তাক্ত জখম করেছে মামলার বিবাদী সহ তাদের লোকজন। বর্তমানে সে গুরুতর আহত অবস্থায় বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, বিরামপুর পৌর শহরের পূর্বজগন্নাথপুর কেডিসি এলাকার মৃত- মফল উদ্দিনের বিদেশ ফেরত মেয়ে নাজমা (৩২) গত ৭ মাস পূর্বে বাড়ী আসে। নাজমা সৌদি আরবে থাকা অবস্থায় তার বড় বোন মরিয়মের নিকট ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পাঠায়। দেশে এসে পাওনা টাকা ফেরত চাইতে গেলে টাকা না দিয়ে তার বড় বোন মরিয়ম একের পর এক তালবাহানা শুরু করে।
নির্যাতিতা নাজমা সাংবাদিকদের জানায়, তার বোন মরিয়ম এলাকার একজন মাদক ব্যবসায়ী। তার নামে মাদকের দুইটি মামলা চলছে। সে আমাকেও মাদকের অবৈধ ব্যবসা করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এতে আমি রাজী না হওয়ায় ও তার নিকট গচ্ছিত পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় শত্রুতামূলক আমাকে হত্যার পায়তারা চালিয়ে আসছিল। এমতাবস্থায় গত ২ই অক্টোবর আবারো পাওনা টাকা চাইতে গেলে টাকা না দিয়ে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে হামলা চালিয়ে আমাকে বেধড়ক মারপিঠ করে। এতে আমি বাদী হয়ে গত ৩ই অক্টোবর মরিয়ম, আনোয়ারা, আঙ্গুরা, মনোয়ারা ও আমিনুর সহ আরো অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামী করে বিরামপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করি। মামলা নং ০৪, তাং-০৩/১০/২০২০ইং। মামলা দায়েরের পর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস,আই নুরুল ইসলাম মামলার আসামি মনোয়ারাকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
জানা গেছে, অন্যান্য আসামীরা পরে জামিন পেয়ে তাদের সহযোগিদের নিয়ে গত ৫ই অক্টোবর রাত ১২টার দিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আবারও মামলার বাদী নাজমার উপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। হামলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নাজমার পিঠ চিরে গিয়ে পিঠ সহ শরীরের অন্যান্য স্থানে মারাত্মক জখম হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে বিরামপুর থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, নাজমার উপর হামলার বিষয়ে গত ৩ই অক্টোবরে একটি মামলা হয়েছে। এরপরেও বাদীর উপর আবারও কোন নির্যাতন বা হামলা হয়ে থাকলে পুনরায় অভিযোগ সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।