
বিএনপির পুননির্বাচনের দাবি অযৌক্তিক। নির্বাচন এলেই সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে দোষারোপ করতে তাদের অপতৎপরতা শুরু হয়। তারা সব সময় নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে চাই। মানবিক কারণে বেগম জিয়া জামিনে মুক্ত আছেন। এটা বিএনপির আন্দোলনের ফসল নয়। বিএনপির আন্দোলনের হাঁকডাক তর্জন-গর্জনই সার।
বাজারে সিন্ডিকেট আছে। কিন্তু সিন্ডিকেট মোকাবিলায় সরকার ব্যর্থ নয়। করোনার কারণে পারিবারিক সহিংসতা ও সামাজিক অবক্ষয় বেড়েছে। এছাড়া ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের সঙ্গে যারাই জড়িত তাদের প্রধানমন্ত্রী ছাড় দেননি। কোনো আপস করা হয়নি।
শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় এ সব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা হয়।
বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এ বছর না ওই বছর, আন্দোলন হবে কোন বছর’। গণমাধ্যমের ওপর ভর করে বিএনপি টিকে আছে বলেও মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের।
সেতুমন্ত্রী নেতাদের সতর্ক করে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। যেকোনো গুজবের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে আছে সরকার। সাংবাদিকরা যাতে অপপ্রচারের শিকার না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
আওয়ামী লীগের এ সাধারণ সম্পাদক বলেন, করোনাকালে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল না। আগামী মাস থেকে দলীয় কর্মকাণ্ড পূর্ণ উদ্যোমে শুরু করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। ৩ নভেম্বর বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে স্বল্প পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেল হত্যা দিবসের আলোচনা হবে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি আলোচনায় অংশ নেবেন।
সেতুমন্ত্রী বর্তমান সিন্ডিকেট নিয়ে বলেছেন, বাজারে সিন্ডিকেট আছে। কিন্তু সিন্ডিকেট মোকাবিলায় সরকার ব্যর্থ নয়। করোনার কারণে পারিবারিক সহিংসতা ও সামাজিক অবক্ষয় বেড়েছে। এছাড়া ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের সঙ্গে যারাই জড়িত তাদের প্রধানমন্ত্রী ছাড় দেননি। কোনো আপস করা হয়নি।
লাস্টনিউজবিডি/ এসএমএ