1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৪৭ পূর্বাহ্ন
১৩ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
৬ই রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
‎“সংস্কার ও হত্যার বিচার নিশ্চিতের পর নির্বাচন হওয়া উচিত”—-মাওলানা মমতাজ ‎লালমনিরহাটে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চার শতাধিক শিক্ষার্থীর ছাত্রদলে যোগদান পীরগঞ্জে শারদীয় দুর্গোৎসবের আমেজ সাঁওতালদের স্কুল ও খেলার মাঠ রক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ গোবিন্দগঞ্জে পাওয়ার ট্রলির ধাক্কায় প্রতিবন্ধী মহিলা নিহত পলাশবাড়ীতে ১টি কিনিক এবং ২টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা পলাশবাড়ীতে এবার ৫৭ পূজামন্ডপে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দূর্গাপূজা উদ্যাপনে প্রশাসনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন গাইবান্ধায় ‘স্কিল অ্যান্ড ইনোভেশন’ প্রতিযোগিতা বালাসীঘাট থেকে বাহাদুরাবাদ ব্রহ্মপুত্র নদে টানেল নির্মাণের দাবীতে মানববন্ধন গাইবান্ধায় শিক্ষার মান ও সার্বিক উন্নয়ন শীর্ষক মতবিনিময় সভা

পায়ে হেটে করোনার তহবিল সংগ্রহ করা শতবর্ষী বৃদ্ধকে রানির সম্মাননাে

  • আপডেট হয়েছে : শনিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২০
  • ৩০ বার পড়া হয়েছে

ব্রিটেনের এক শতবর্ষী বাঙালি যিনি রোজার মাসে পায়ে হেঁটে করোনাভাইরাস তহবিলের জন্য প্রায় সাড়ে চার লক্ষ পাউন্ড চাঁদা তুলেছেন তাকে রানির সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে।

পূর্ব লন্ডনের বো এলাকার বাসিন্দা দবিরুল ইসলাম চৌধুরীকে অর্ডার অফ দ্যা ব্রিটিশ এম্পায়ার (ওবিই) পদক দেয়া হয়েছে।

এই সম্মাননার তাৎক্ষনিক এক প্রতিক্রিয়ায় দবিরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এই দুর্লভ সম্মান পেয়ে আমি নিজেকে অত্যন্ত ভাগ্যবান বলে মনে করছি। আমার অন্তরের অন্ত:স্থল থেকে সবার প্রতি ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

রানি এলিজাবেথের জন্মদিন উপলক্ষে ব্রিটেনের সমাজ-জীবনে যারা বিশেষ ভূমিকা রাখেন প্রতিবছর তাদের সম্মান জানানোর রীতি রয়েছে।

চলতি বছর জুন মাসে এই সম্মাননা ঘোষণার পরিকল্পনা থাকলেও করোনাভাইরাস মহামারির সময় স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী, অর্থদাতা এবং স্বেচ্ছাসেবকদের এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য তা স্থগিত করা হয়।

গত রমজান মাসের পুরোটা সময় দবিরুল ইসলাম চৌধুরী রোজা রেখে প্রতিদিন তার বাড়ির পেছনের ৮০ মিটার বাগানে পায়ে হেঁটে মোট ৯৭০ বার চক্কর দিয়েছেন।

তার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশ, ব্রিটেন এবং আরো কিছু দেশের করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত মানুষের সহায়তার জন্য অর্থসাহায্য সংগ্রহ করা।

ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন টম মুর তার বাড়ির বাগানে পায়ে হেঁটে স্বাস্থ্য-কর্মীদের জন্য যেভাবে প্রায় সাড়ে তিন কোটি পাউন্ড চাঁদা তুলেছিলেন তা দেখে উৎসাহিত হয়েছিলেন তিনি।

রোজার মাসের পুরোটা সময় তিনি একইভাবে পায়ে হেঁটে মোট চার লক্ষ ২০ হাজার পাউন্ড সংগ্রহ করেন।

ক্যাপ্টেন টম মুর, দবিরুল ইসলাম চৌধুরীর যিনি অনুপ্রেরণা, পায়ে হেঁটে ব্রিটেনের স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য তিনি প্রায় সাড়ে তিন কোটি পাউন্ড চাঁদা তোলেন। এর মধ্যে এক লক্ষ ১৬,০০০ পাউন্ড দেয়া হয় স্বাস্থ্য বিভাগ এনএইচএস-কে।

বাকি অর্থ ৫২টি দেশের ৩০টি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দান করা হয়।

চৌধুরীর এই প্রচেষ্টার প্রশংসা করে বিরোধীদল লেবার পার্টির প্রধান স্যার কিয়ার স্টার্মার বলেছেন, “আমাদের সবার কাছে তিনি প্রেরণার এক উৎস।

এই স্বীকৃতি ইমিগ্র্যান্ট সমাজের
এক সাক্ষাৎকারে দবিরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, তিনি ব্রিটেনের বাঙালি সমাজ, বয়স্ক সমাজ এবং অভিবাসী সমাজের পক্ষ থেকে এই ওবিই পদক গ্রহণ করছেন।

তিনি জানান, সপ্তাহ দুয়েক আগে রানির দফতর থেকে ওবিই পদক প্রাপ্তির চিঠি পেয়ে তিনি বেশ অবাকই হয়েছিলেন।

হেঁটে ভাইরাসে বিপর্যস্তদের জন্য প্রায় দুকোটি টাকা তুলেছেন শতবর্ষী এক ব্রিটিশ বাংলাদেশি

তিনি বলেন, আমরা যখন কোন একটা ভাল কাজ করি তখন বিশেষ কোন প্রাপ্তির কথা মাথায় রাখি না। তবু এই স্বীকৃতির জন্য আমি খুবই আনন্দিত।

আর এই পদক তার জীবনের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ কোন পরিবর্তন আনবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন। তবে তার কাজ যদি অন্য কাউকে উৎসাহিত করে তবেই তিনি খুশি হবেন বলে জানালেন।

রানির পদক পাওয়ার পর তিনি যেসব দাতব্য প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত সেগুলোর প্রতি মানুষের সমর্থন আরও বাড়বে বলে তিনি আশা করেন।

তার ছেলে আতিক চৌধুরী বলেন, দবিরুল ইসলাম চৌধুরী তার জন্মস্থান সিলেটের দিরাইয়ে বাংলা ফিমেল অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি চ্যারিটির সাথে যুক্ত।

ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দরিদ্র, অসহায় ও অনাথ মেয়েদের জন্য প্রতিষ্ঠানটি ভরণপোষণ ও শিক্ষার ব্যবস্থা করে।

বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানে মোট ৩২০ জন মেয়ে রয়েছে।

এদের উচ্চশিক্ষার দায়িত্ব ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় নিয়েছে বলে তিনি জানান।

মহামারির জন্য আটকে আছে উৎসব
রানির পদক পাওয়ার পরও চৌধুরী পরিবার এনিয়ে কোন আনন্দ-উল্লাস করার সুযোগ পায়নি।

আতিক চৌধুরী জানালেন, তার বাবা বয়োবৃদ্ধ বলে মহামারির সময়ে ‘সেলফ আইসোলেশন’-এ রয়েছেন।

ফলে একমাত্র তিনি এবং একজন সেবাকর্মী ছাড়া কারও সাথে তিনি দেখা করতে পারছেন না।

সিলেব্রশন বলাতে যা করেছি তা হলো ফ্যামিলির যে যেখানে আছে সেখান থেকে সবাই মিলে টেলিফোনে তার সাথে কথা বলেছি, তাকে অভিনন্দন জানিয়েছি।

জন্ম সিলেটে কর্ম বিলেতে
দবিরুল ইসলাম চৌধুরীর জন্ম ১৯২০ সালে সিলেটের দিরাইতে।

ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে উচ্চশিক্ষার আশায় ১৯৫৭ সালে তিনি বিলেতের পথে পাড়ি জমান।

এরপর তিনি সেন্ট অলবান্স শহরে বসবাস করেন এবং সেখানে একজন কমিউনিটি লিডার হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করেন।

উনিশশো একাত্তর সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধের সময়েও তিনি অর্থ সাহায্য সংগ্রহ করেছিলেন।

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft