
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে প্রকাশ্যে এক নারীর ঘরে ঢুকে বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানির অভিযোগে অভিযুক্তদেরসহ দেশব্যাপী সংঘটিত নারী শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী ও ধর্ষণ বিরোধী লংমার্চে ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২১অক্টোবর) দুপুর ১২টায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ও বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র গাইবান্ধা জেলার উদ্যোগে শহরের শহরের ১নং রেলগেট এলাকায় এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
নারীমুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সুভাসিনী দেবীর সভাপতিত্বে উক্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নারী মুক্তিকেন্দ্র সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী, সংগঠনের নেতৃ লিজা উল্যা, ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি পরমানন্দ দাস, সাধারণ সম্পাদক রাহেলা সিদ্দিকা ও মাহবুব আলম মিলন প্রমুখ।
বক্তারা ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে লংমার্চে হামলাকারীদের গ্রেফতার এবং নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে দুষ্কৃতিকারী বখাটে দেলোয়ার বাহিনী কর্তৃক প্রকাশ্যে বর্বরোচিত নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত বখাটে দেলোয়ার বাহিনীদের গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ সারাদেশে অব্যাহত নারী-শিশু নির্যাতন ধর্ষণ, হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ বিচারে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন।
এসময় বক্তারা আরো দাবী করেন ধর্মীয়সহ সকল সভা সমাবেশে নারী বিরোধী বক্তব্য শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে হবে, সাহিত্য, নাটক, সিনেমা, বিজ্ঞাপনে নারী দেহকে পন্য হিসেবে উপস্থাপন বন্ধ করতে হবে, পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণে বিটিসিএল কর কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে এবং সুস্থ ধারার সাংস্কৃতিক চর্চায় সরকারিভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে। এছাড়াও পাঠ্যপুস্তকে নারীর প্রতি অবমাননা ও বৈষম্যমূলক যে কোন প্রবন্ধ, নিবন্ধ, নাটক, গল্প, ছবি, পরিচ্ছদ ও শব্দ চয়ন পরিহার করতে হবে। অপরাধ বিজ্ঞানসহ জেন্ডার বিশেষজ্ঞদের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বাড়িয়ে অনিস্পন্ন সকল মামলার দ্রুত নিস্পত্তি করতে হবে। তারা সিডো সনদে বাংলাদেশকে স্বাক্ষর ও তার পূর্ণ বাস্তবায়ন করার দাবি জানান। পরে সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল জেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।