
গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর থানাধীন মহেশপুর (মোলং বাজার) সংলগ্ন মোঃ মোতাহার হোসেন (৪৪) পিতা-মোজাম্মেল প্রধান। ধান চালের চাতাল দেয়। চাতাল ব্যবসার ফাকে মোতাহার হোসেন ওরফে জাপান তার বন্ধুদের নিয়ে চাতালে আড্ডা ও তাদের নিয়ে গোপনে ফেন্সিডিল সেবন করত। পরে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে চাতালে ফেন্সিডিল মজুদ করে গোপনে বিভিন্ন খদ্দেরের নিকট খুচরা ও পাইকারি মাদক ব্যবসার সিন্ডিকেট গড়ে তোলে। অনেক ফেন্সিডিল সেবি চাতালের ভেতর নির্বিঘ্নে মাদক সেবন করে বাহিরে বোতল ফেলে দেয়। ফলে চাতালে আশপাশ এলাকায় অনেক খালি বোতল পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকতে দেখা যায়।
মাদক ব্যবসায়ী উক্ত এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় অনেক লোকজন তার চাতালে ফেন্সডিল সেবীদের সব সময় আনাগোনা করতে দেখলেও প্রকাশ্যে কেহ কোন কথা বলতে সাহস কিংবা প্রশাসনকে সংবাদ দিতে সাহস পেত না। ফেন্সডিলের নেশার কবলে পরে উক্ত এলাকার অনেক ব্যবসায়ী ও অনেক যুব সমাজ সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ে। যুবক ছেলেরা মাদকাসক্ত হলে পরিবারগুলোতে চরম অশান্তি নেমে আসে।
এমতাবস্থায় ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন গাইবান্ধা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম মহোদয়ের নিকট পরিবারগুলি মাদকমুক্ত সুরক্ষার জন্য আবেদন জানালে গাইবান্ধা জেলার ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জের নেতৃত্বে এসআই গাফফার আলী, এস আই গোলাম রব্বানী সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স সহ মহেশপুর মোলং বাজার এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। ২১.১০.২০২০ মঙ্গলবার তারিখ ১৭.৫০ মিনিটের সময় চাতালের ভেতরে ৪ বোতল ফেন্সিডিলসহ ফেন্সি সম্রাট মোতাহার হোসেন ওরফে জাপানকে ডিবি পুলিশ আটক করে। পরে তার দেখানো মতে চাতালের অফিস রুমের মেঝেতে ঢাকা অবস্থায় প্লাস্টিকের বস্তায় ৪৪ (চুয়াল্লিশ) বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে। ফেন্সিডিল সম্রাট মোতাহার জানায়, দীর্ঘদিন ধরে নবাবগঞ্জ হতে ফেন্সিডিল গোপনে নিয়ে আসে। চাতাল ব্যবসার পরিবর্তে ফেন্সিডিল ব্যবসার সম্রাট হিসেবে সিন্ডিকেট গড়ে তোলে। ডিবি পুলিশের হাতে ফেন্সিডিলসহ তার আটক হওয়ার সংবাদে এলাকার লোকজন ও ভুক্তভোগীগন স্বস্তি প্রকাশ করেছেন এবং পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। মাদকের বিরুদ্ধে স্থানীয় জনগণকে ডিবি পুলিশের ‘মোটিভেশন’ আগামীতে মাদক ব্যবসায়ীদের প্রতিহত করতে পুলিশ প্রশাসনকে সার্বক্ষনিক সহায়তা প্রদান করবে।
ধৃত আসামির বিরুদ্ধে সাদুল্লাপুর থানা মামলা নং-২৬, তারিখ ২১.১০.২০২০ ইং ধারা -২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১)সারণির ১৪(ক)/৪১ দায়ের করা হয়েছে।