
মানুষের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি নিয়ে গাইবান্ধায় জেলা খাদ্য অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। পরে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের মাধ্যমে খাদ্যমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার ১ অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় ঘেরাও করে সমাবেশ করেন জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির নেতাকর্মীরা। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্কার্স পার্টির গাইবান্ধা জেলা নেতা প্রণব চৌধুরী খোকন।
বক্তব্য দেন- বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য আমিনুল ইসলাম গোলাপ, জেলা সাধারণ সম্পাদক মিলন কান্তি সরকার, জেলা সদস্য এমএ মতিন মোল্লা, মাসুদুর রহমান মাসুদ, কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
এ সময় চালকল মালিকদের সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে চালের সরবরাহ ও বাজারদর স্বাভাবিক রাখার দাবি জানানো হয়। বক্তারা বলেন, অসাধু চালকল মালিকরা দেশের মানুষকে জিম্মি করে দাম বাড়িয়ে দেন। তারা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলেন। তাদের বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। তা না হলে দেশে খাদ্যের সংকট না থাকলেও মানুষের মুখে খাবার জুটবে না।
তারা বলেন, দেশের সাধারণ মানুষরা চালকল মালিকদের সিন্ডিকেটের কাছে বন্দি হয়ে গেছে। দেশীয় কালোবাজারী মজুতদার অপশক্তি বিভিন্ন অজুহাতে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে দাম বৃদ্ধি করে অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছে। কালোবাজারী অশুভ শক্তি অধিদপ্তর থেকে মন্ত্রণালয়ে থাকায় কোনো পদক্ষেপ কাজে আসছে না। বক্তারা আরও বলেন, কোভিড-১৯ বিশ্বব্যাপী মানুষের জীবনকে বিপর্যস্ত করে ফেলেছে। ইতোমধ্যে দেশে করোনাভাইরাসের কারণে খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। এর পেছনে দায়ি চালের মূল্যবৃদ্ধির সেই সিন্ডিকেট। সমাবেশ থেকে এই সিন্ডিকেটকে দমন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
সমাবেশ শেষে ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃবৃন্দ চালের মূল্যবৃদ্ধি রোধ ও জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ ৮ দফা দাবিতে জেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে খাদ্যমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি দেন। দাবিগুলো হলো- চালকল মালিকদের চুক্তিমত চাল দিতে বাধ্য করা, মজুত বিরোধী আইন প্রয়োগ, চালের বাজারে সক্রিয় সিন্ডিকেট কঠোরহস্তে দমন, কৃষকদের উপযুক্ত মূল্য ও ধান চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ, উপজেলায় প্যাডিসাইলো নির্মাণ, কৃষকদের সাশ্রয়ী সুদে ঋণ, বছরব্যাপী ১০ টাকা কেজি মূল্যে চাল বিতরণ ও সারা দেশে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা।