ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ৪ সহযোগী ও ১ ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দিয়েছে। সোমবার (১৯ অক্টোবর) আওয়ামী লীগের ৪ সহযোগী সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ নাম ঘোষণা করা হয়।

পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন পেয়েছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মৎস্যজীবী লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা শ্রমিক লীগ। এর আগে রবিবার ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন জাতীয় শ্রমিক লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন পায়।

কৃষক লীগের সহ-সভাপতি পদে ১৬ জন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ৩ জন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ৭জন। দফতর সম্পাদক পদে ১জন। কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহী সদস্য হয়েছেন ২১ জন। এভাবে বিভিন্ন পদে ১১১ জনকে নিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন পেয়েছে কৃষক লীগ। গত বছরের ৬ নভেম্বর কৃষক লীগের জাতীয় সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন সমীর চন্দ্র এবং সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন উম্মে কুলসুম স্মৃতি।

গত বছর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে নতুন করে সহযোগী সংগঠন হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া মৎস্যজীবী লীগও ১১১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন পেয়েছে। এছাড়াও আওয়ামী লীগের আরেক সহযোগী সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবক লীগও ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন পেয়েছে। আরও অনুমোদন পেয়েছে ৩৫ সদস্য বিশিষ্ট মহিলা শ্রমিক লীগ।

জাতীয় শ্রমিক লীগ ৩৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন পেলেও সংগঠনের ২টি পদ ফাঁকা রয়েছে। শ্রমিক লীগের একজন মৃত্যুবরণ করায় এবং অপর আরেকজন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পাওয়ায় ২টি পদ শূন্য রয়েছে।

উল্লেখ্য, সম্মেলনের ১১ মাস পর পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন পায় শ্রমিক লীগ। গত বছরের নভেম্বরে আওয়ামী লীগের ভাতৃপ্রতিম সংগঠন জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে ফজলুল হক মন্টুকে সভাপতি এবং কেএম আযম খসরুকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করা হয়। এছাড়াও কার্যকরী সভাপতি হিসেবে মোল্লা আবুল কালাম আজাদের নাম ঘোষণা করা হয়।