
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসারের উদ্যোগে ৭৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণের কাজ চলছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার।
জানা গেছে গত ২০১৯-২০ অর্থ বছরে উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংস্কার, নির্মাণ, মেরামত ও অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য সরকারি বরাদ্দ আসে। এরমধ্যে ৬৮ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রত্যেকটির অনুকুলে ২ লাখ টাকা এবং ৪৪ বিদ্যালয়ের অনুকুলে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়। করোনার কারণে নির্ধারিত সময়ে কাজ শুরু না হলেও পরবর্তিতে কাজ করার জন্য অর্থ ছাড় দেন শিক্ষা অফিসার। বিভিন্ন জাতীয় দিবসে বীর শহীদদের প্রতি কোমলমতি শিশুরা যাতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পন করতে পারে ও দিবসটির তাৎপর্য উপলব্ধি করতে পারে সে দৃষ্টিকোন থেকে যে প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই সেখানে শহীদ মিনার নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। সে হিসেব মোতাবেক ৭৪টি বিদ্যালয়ে দৃষ্টিনন্দন শহীদ মিনার নির্মাণ হচ্ছে। বাকী ৩৪টি বিদ্যালয়ের মেরামত কাজ হচ্ছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসারের এ উদ্যোগ সচেতন মহলে ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সভাপতি উল্লেখিত অর্থ দিয়ে শহীদ মিনার নির্মাণের কাজ করছেন। ইতোমধ্যেই অনেক প্রতিষ্ঠানের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। বাকী প্রতিষ্ঠানের কাজও এ সপ্তাহের মধ্যেই শেষ হবে। সহকারী শিক্ষা অফিসাররা এ কাজগুলোর তদারকি করছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার এ.কে.এম. হারুন-উর-রশিদ জানান, শহীদ মিনার নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ের দিকে। সামান্য কয়েকটি বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার নির্মাণ কাজ বাকী থাকলেও আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তা শেষ হবে। এরপর আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবো ইন্শআল্লাহ।