
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে হত্যা মামলায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হতে হবে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।
তবে দেশের যে কোনো অস্থিতিশীল মুর্হূতে একটি পক্ষ সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করে এ ঘটনায় তেমনটি চেষ্টা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আজ বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামে রেজিমেন্টাল কালার প্যারেড শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন সেনাপ্রধান।
এসময় পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহাকে নিয়ে নানা বিষয় কথা বলেন তিনি।
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ডের পর দু’টি বাহিনীকে মুখোমুখি করার যে চক্রান্ত হয়েছে তা নিয়েও কথা বলেন সেনা প্রধান।
এর আগে মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) এ হত্যার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন দিনের রিমান্ডে নেয়া তিন সাক্ষীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে আদালতে আনা হয়।তিন সাক্ষীকে তৃতীয়বারের মতো তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে তিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসপি খাইরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, একদিনের রিমান্ড শেষে ওসি প্রদীপ কুমার দাশকেও আদালত হাজির করা হবে।
গত ২০ আগস্ট প্রথম দফায় ৭ দিন ও ২৫ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সিনহা হত্যা ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে র্যাবের একটি দল টেকনাফের মারিশবুনিয়া এলাকা থেকে গত ৯ আগস্ট পুলিশের দায়ের করা মামলার এ সাক্ষীদের গ্রেফতার করে।
গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে ‘গাড়ি তল্লাশিকে’ কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ঘটনার পর বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি ও রামু থানায় একটি মামলা করে পুলিশ। এ মামলায় এখন পর্যন্ত সাত পুলিশ সদস্য, এপিবিএনের তিন সদস্য ও টেকনাফ পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
এদিকে গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। মামলায় ৯ জনকে আসামি করা হয়।