গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার খুলসি এলাকায় দুবৃর্ত্তদের হাতে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শ্যামল (১৫) নামের স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। কাইয়াগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর স্কুল ছাত্র শ্যামল পৌর শহরের খুলসি গ্রামের গ্রাম পুলিশ সাদা ফলের ছেলে।
জানা যায়, গত সোমবার রাতে স্কুল ছাত্র শ্যামল নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুজি করে রাতে পাওয়া না গেলে পরের দিন মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বাড়ীর পার্শ্বে জোলার ভিতর শ্যামলের মাথায়, বুকে, শরীরে জখম কাদা মাখা অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া গেলে পরিবারের লোকজন প্রথম গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে বগুড়া (শজিমেক) হাসপাতালে রেফার্ট করে।সেখানে দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শ্যামল মারা যায়। ১৬ সেপ্টেম্বর বুধবার বগুড়া (শজিমেক)হাসপাতালে পোষ্ট মর্টেম শেষে নিজ গ্রামে শ্যামলের লাশ নিয়ে আসলে এক হৃদয় বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। নিহত শ্যামলের পরিবারের অভিযোগ, দুবৃর্ত্তরা শ্যামলকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে অজ্ঞান অবস্থায় জোলায় ফেলে যায়। সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়, নিহতর পরিবার এই ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক বিচার দাবী করেছেন। এই ঘটনায় স্থানীয় কাউন্সিলর ফারুক হোসেনও এ ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে বিচার দাবী করেছেন।
গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত বলেন, শ্যামলের লাশ পোষ্ট মমর্টেম করা হয়েছে। যেহেতু শ্যামলের পরিবার তার দাফন নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে। দাফন শেষে তার পরিবার অভিযোগ দিলেই মামলা দায়ের করা হবে।