
গাইবান্ধায় কিশোরী গৃহকর্মী ধর্ষন মামলায় জামিন নিতে এসে এক স্কুলশিক্ষককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। ২২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ওই শিক্ষককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধায় কিশোরী গৃহকর্মী ধর্ষণ মামলার আসামি ওই স্কুলশিক্ষক আজ মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) গাইবান্ধার চীফ জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। বিচারক প্রদীপ কুমার রায় শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরআগে হাইকোর্ট থেকে তিন সপ্তাহের জামিনে ছিলেন ওই শিক্ষক। হাইকোর্টের জামিনের মেয়াদ শেষ হলে তিনি পূনরায় গাইবান্ধা আদালতে জামিন আবেদন করেন।
অভিযুক্ত ওই শিক্ষক গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের নওহাটী গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে ও গাইবান্ধা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তিনি গাইবান্ধা জেলা শহরের থানাপাড়ায় নিজ বাসায় পরিবার নিয়ে বসবাস করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত শিক্ষক ইউনুস আলী নির্যাতিত ওই কিশোরীর চাচাতো ভাই। প্রায় ৩ বছর আগে পড়াশোনার পাশাপাশি বাড়ির গৃহকর্মীর কাজ করার জন্য গ্রাম থেকে গাইবান্ধা শহরের বাসায় নিয়ে আসা হয় ওই কিশোরীকে। তার সাথে কথা ছিল মেয়েটি সেখানে কাজের পাশাপাশি লেখাপড়া করবে এবং বড় হলে তার বিয়ের দায়িত্ব নেবেন ইউনুস। গত ৯ জুন ওই কিশোরীর দাদি বাদী হয়ে ইউনুস আলী (৫০)’র বিরুদ্ধে তার নিজ বাড়ির কিশোরী ওই গৃহকর্মীকে (১৫) ধর্ষনের অভিযোগ এনে গাইবান্ধা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, কিশোরী গৃহকর্মীকে ধর্ষনের এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে অভিযুক্ত শিক্ষকের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর পরিবারসহ সচেতন মানুষ। স্পর্ষকাতর এ ঘটনার তদন্তভার জেলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর উপর হস্তান্তর করা হয়। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত ইউনুস আলী পলাতক ছিলেন।