
গাইবান্ধা জেলার সাতটি উপজেলায় কর্মরত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনওদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আনছার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জেলার সাত উপজেলার ইউএনও’র কার্যালয় এবং তার বাসভবনে আনছার সদস্য মোতায়েনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আনছার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর গাইবান্ধা জেলা সহকারী কমান্ডার মো. তৌহিদুজ্জামান।
তিনি জানান, প্রত্যেক উপজেলার ইউএনওদের নিরাপত্তার স্বার্থে ১০ জন করে সশস্ত্র অঙ্গীভূত আনসার সদস্য মোতায়েনের নির্দেশ দেয়া হয়। সেই নির্দেশনায় ইতোমধ্যে সাত উপজেলাতে ৪ জন করে মোট ২৮ জন আনছার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। আপাতত ইউএনও’র কার্যালয় এবং তার বাসভবনে আনছার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট ইউএনওদের সঙ্গে আলোচনা করেই ৪ জন আনসারের দায়িত্ব পালনের সিদ্ধান্ত হয়। আগামী রোববার থেকে প্রতিটি উপজেলায় অস্ত্র-গুলির নিরাপত্তা পূর্বক হেডকোয়ার্টার এবং ইউএনওদের সঙ্গে আলোচনা করে একজন পিসি, একজন এপিসি ও আটজন আনসারসহ মোট ১০ জন করে আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নবীনেওয়াজ জানান, বিকেল থেকে চারজন আনছার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের দায়িত্ব পালনে তার বাসভবন ও কার্যালয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার হয়েছে।
এদিকে, আনসার সদস্য মোতায়েনের বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রামকৃষ্ণ বর্মণ জানান, আনসার সদস্যরা ইতোমধ্যে তার সঙ্গে কথা বলাসহ পুরো বাসভবন এলাকা ঘুরে দেখেছেন। সার্বিক নিরাপত্তায় আনসার সদস্যরা বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন।
অপরদিকে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামানের বাসভবনের সামনের প্রধান গেটে চারজন আনসার সদস্যকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। এ সময় দায়িত্বরত আনসার সদস্য মো. সবুর জানান, পুরো ভবন ঘিরেই তাদের নজরদারি রয়েছে। ইতোমধ্যে ইউএনও’র বাসভবনসহ আশপাশে কেউ আসলে তাদের পরিচয় জানাসহ বিভিন্নভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।